123 Main Street, New York, NY 10001

বাংলাদেশে সফররত পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান আজ রাজধানী ঢাকায় মতিঝিলের ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ভবনে চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এই বৈঠকে দুদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে গভীর আলোচনা হয়।

সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছিলেন, দুই দেশের মানুষের মধ্যে সংস্কৃতি, জীবনধারা এবং আতিথেয়তার ক্ষেত্রে অনেক মিল আছে। পাকিস্তানের টেক্সটাইল ও বিশেষ করে জুয়েলারি পণ্য বাংলাদেশের বাজারে ব্যাপক চাহিদা আছে, যা দ্বিপাক্ষিক ব্যবসার জন্য একটি বড় সুবিধা। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য এফটিএ স্বাক্ষরের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। যদি পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ এফটিএ স্বাক্ষর করে, তাহলে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও প্রসারীত হবে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, যদি সরাসরি বিমান ও কার্গো যোগাযোগ চালু হয়, তবে ব্যবসায়িক সংযোগ আরও শক্তিশালী হবে।

পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক এবং টেক্সটাইল খাত ছাড়াও দুদেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যত আরো বিকশিত হওয়ার জন্য রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ জরুরি। তিনি উল্লেখ করেন, ইউরোপ, কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাকের নতুন ডিজাইনের মাধ্যমে পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা বাড়ছে, যেখানে দুদেশের পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের মনোযোগ দেওয়া দরকার। এর মাধ্যমে রপ্তানি ব্যবসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে।

তিনি আরও বলেন, পূর্ব আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে দুদেশের পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি সিমেন্ট, চিনি, পাদুকা ও চামড়ার মতো খাতে পাকিস্তান ভালো করেছে, বাংলাদেশ চাইলে এই পণ্যগুলো পাকিস্তান থেকে আমদানি করতে পারে। পাশাপাশি, ঔষধ শিল্পে বাংলাদেশের দক্ষতা পাকিস্তানের জন্য খুবই কার্যকর বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

জাম কামাল খান বলেন, যদি কৃষি উৎপাদন ও পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণে নতুন প্রযুক্তি ও মূল্য সংযোজন বাড়ানো যায়, তাহলে এই খাতগুলোতে বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি হবে। তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বাজারে পণ্যের প্রবেশের জন্য শিগগিরই বাংলাদেশে ‘সিঙ্গেল কান্ট্রি এক্সিবিশন’ আয়োজন করা হবে, যাতে দুই দেশের বেসরকারি খাতের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

এ সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার, ডিসিসিআই এর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান এবং পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যরা। পাকিস্তানের হাইকমিশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *