123 Main Street, New York, NY 10001

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। আগের বছরের একই кезеңের তুলনায় এই সময়ে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ১৭.৯ শতাংশ বেড়ে 10.29 বিলিয়ন ইউরো পৌঁছেছে। একই সময়ে, ইইউর মোট পোশাক আমদানি ১২.৩ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে 43.39 বিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছরের 38.64 বিলিয়ন ইউরোর তুলনায় বেশি।

এই প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ইইউর বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক সরবরাহকারী হিসেবে দেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করছে। কিন্তু প্রতিযোগীদের দৃষ্টিতে লক্ষ্য করলে দেখা যায়، চীন ও কম্বোডিয়া এই বাজারে বেশ উচ্চ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। চীনের রপ্তানি ২২.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে 11.26 বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে, যেখানে কম্বোডিয়া এ বছর ৩০.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখিয়ে 2.07 বিলিয়ন ইউরো রপ্তানি করেছে।

প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে ভালো পারফর্ম করেছে। ভারতের পোশাক রপ্তানি এই সময়ে 2.7 বিলিয়ন ইউরো, যা গত বছরের 2.34 বিলিয়ন ইউরো থেকে ১৫.৪ শতাংশ বেশি। পাকিস্তানও রপ্তানি বাড়িয়ে 1.86 বিলিয়ন ইউরো করেছে, যেখানে গত বছরের তুলনায় ১৬.৬ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গেছে। ভিয়েতনামও এ সময়ে ১৭.৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে 2.02 বিলিয়ন ইউরো রপ্তানি করেছে।

অন্যদিকে, তুরস্কের রপ্তানি ৭ শতাংশ কমে 4.27 বিলিয়ন ইউরোতে নেমে এসেছে, যা ইইউর বাজারে তাদের চাহিদার কমতির সূচক।

মোটের উপর দেখা যায় যে, বাংলাদেশের ১৭.৯% প্রবৃদ্ধি ইইউর গড় প্রবৃদ্ধির থেকে বেশি, এবং এটি ভারতের, পাকিস্তানের ও ভিয়েতনামের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে চীন ও কম্বোডিয়ার তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা পিছিয়ে থাকায়, এই বাজারে ভবিষ্যতে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *