123 Main Street, New York, NY 10001

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন সংগ্রহের পরই জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে বহিষ্কার করা হয় মাহিন সরকারকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন।

মাহিন জানান, গত সোমবার মধ্যরাতে তিনি একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি সেই ব্যক্তিদের একজন যারা অভ্যুত্থানের ব্যানারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন গড়ে তুলেছি। এখন অন্তত আমার কথা বলার অধিকার থাকা উচিত ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাহিন সরকারের জীবনে এমন অনেক গল্প রয়েছে যা তার ভবিষ্যত সন্তানদের জন্য গর্বের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তার রক্তের ছাপ রয়েছে, যেখানে তিনি নানা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’

মাহিন উল্লেখ করেছেন, ‘গান পয়েন্টে ছয়জন সমন্বয়কের জন্য কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে বলেছিলাম, কিন্তু আমি বলেছিলাম ‘মানিনা’। এরপর বিভিন্ন সমন্বয়করা সাবলীলভাবে বৈধতা পেয়েছেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সময় মাঠে নেমেছিলাম ন্যায়বিচারের জন্য, কিন্তু কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। আজ কোনও কারণ জানানো ছাড়াই আমাকে বহিষ্কার করা হয়।’

অতীতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকার বিষয়েও তিনি বলেন, ‘গুরুতর আর্থিক অনিয়ম কিংবা চরিত্রাবননের মতো অভিযোগ থাকলেও সংগঠনগুলো সাধারণত আত্মপক্ষের সুযোগ দেয়। কিন্তু আমি সেই সুযোগ পাইনি, যা নবগঠিত দলের জন্য ক্ষতিকর।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি সবসময়ই বিশ্বাস করি, বিজয় আকাশ থেকে আসে, আর তার বাস্তব রূপ মাটি থেকে ফুটে উঠে।’

সম্প্রতি, সোমবার দিবাগত রাতে গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাকে এনসিপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। এই বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহউদ্দিন সিফাত জানান, ‘গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে মাহিন সরকারকে তার পদ থেকে সরানো হয়েছে। তার জন্য এই বহিষ্কারাদেশ আজ থেকে কার্যকর এবং পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এভাবে থাকছে।’

এর আগে, তিনি গত সোমবার দুপুরে ‘ডিইউ ফার্স্ট’ নামক একটি স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ঘোষণা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *