123 Main Street, New York, NY 10001

চট্টগ্রাম থেকে শুঁটকি রপ্তানির পরিমাণ প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই অঞ্চলের রপ্তানি হয়েছে মোট ৩ হাজার ১২৬ টন শুঁটকি, যার মূল্য মোট প্রায় ৭০ লাখ ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার। এর আগে অর্থবছরের তুলনায় এই আয়ের পরিমাণ প্রায় পাঁচ লাখ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রাম থেকে দেশের সবচেয়ে বেশি শুঁটকি রপ্তানি হয়, যার মূল বাজার হলো ভারত। বিশেষ করে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ‘সেভেন সিস্টার’ রাজ্যগুলো এই শুঁটকি চাহিদায় প্রচুর। এছাড়া হংকং, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও থাইল্যান্ডেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফারহানা লাভলী জানান, ‘‘চট্টগ্রামের শুঁটকির বৈশ্বিক চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে, যদিও বর্তমানে রপ্তানির পরিমান যথেষ্ট নয়। সঠিক উদ্যোগ নেওয়া হলে এই খাত থেকে আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।’’ চট্টগ্রামের ১৭টি প্রতিষ্ঠান নিয়মিত শুঁটকি রপ্তানি করে আসছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বাজারে কাঁচা মাছের দাম বেশি থাকার কারণে উৎপাদন খরচও বেড়েছে, ফলে পর্যাপ্ত রপ্তানি সম্ভব হচ্ছে না। তারা সরকারের উদ্যোগ বা প্রণোদনার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। শুঁটকি রপ্তানিকারক শোয়েব ট্রেডের স্বত্বাধিকারী সুজন চৌধুরী বলেন, ‘‘প্রধানত ভারতেই বেশিরভাগ রপ্তানি হচ্ছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকায় মিঠাপানির পুঁটির শুঁটকির চাহিদা বেশি। এছাড়াও মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যেও সামান্য পরিমাণে রপ্তানি হয়।’’ অন্যদিকে, বিডিসি ফুড লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফারুক মন্তব্য করেন, ‘‘শুঁটকির রপ্তানি বাড়ছে, তবে কাঁচা মাছের দাম বেশি থাকায় শুঁটকির দামও তা অনুযায়ী বাড়ছে।’’’ বাংলাদেশ নন-প্যাকার ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুব রানা বলেন, ‘‘বিদেশে যেখানে যেখানে বাঙালি সম্প্রদায় রয়েছে, সেখানেই দেশীয় শুঁটকির চাহিদা প্রবল। এ জন্য রপ্তানিকারকদের জন্য প্রণোদনা দেওয়া জরুরি।’’ এদিকে, আসাদগঞ্জ বাজার থেকেই দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ শুঁটকি রপ্তানি হয়। এখান থেকে আস্ত শুঁটকির পাশাপাশি মাছের বিভিন্ন অংশ— লেজ, পাখনা ও অন্ত্র— বিদেশে পাঠানো হয়। আসাদগঞ্জ শুঁটকি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওসমান হায়দার বলেছেন, ‘‘গুণগত মানের কারণে বাংলাদেশের শুঁটকি বিদেশে জনপ্রিয়। তবে দেশে মাছের দাম বেশি থাকার কারণে শুঁটকির দামও বেড়েছে। যদি দাম স্থিতিশীল থাকে, তবে রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাবে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *