123 Main Street, New York, NY 10001

আজ (বুধবার) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির পর্যায়ে অনুষ্ঠিত পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে ফিরে আনতে গত এক সপ্তাহে চলা শুনানির অষ্টম দিন শুরু হয়েছে। এই শুনানি চলাকালে বিএনপি পক্ষের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের প্রতিনিধিত্ব করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

শুনানি শুরু হওয়ার আগে বেশ কিছু দিন ধরে এই মামলার বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের বক্তব্য ও যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। গত ২ নভেম্বর, ২৯ অক্টোবর, ২৮ অক্টোবর, ২৩ অক্টোবর এবং ২২ অক্টোবর এই মামলার শুনানি হয়েছে, যেখানে আপিলের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সিদ্ধান্তের বৈধতা ও প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা চলেছে। এর আগে ২১ অক্টোবর এই শুনানি শুরু হয়।

সংশ্লিষ্ট মামলার ইতিহাসে দেখা যায়, এর আগে ২০১১ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী সহ বিস্তারিত বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। ১৯৯৬ সালে সংবিধানে সংযোজিত এ সংশোধনীর আওতায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর ১৯৯৮ সালে এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কিছু আইনজীবী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন, তবে ২০০৪ সালে হাইকোর্ট এই ব্যবস্থা বৈধ ঘোষণা করে। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিলের মাধ্যমে প্রক্রিয়া চলে আসছে। ২০০৫ সালে এই মামলার আপিলের শুনানি শুরু হয়, এবং ২০১১ সালে আপিল বিভাগ সংখ্যা গরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর কার্যকারিতা বাতিল করে রায় দেয়।

এর ফলস্বরূপ, ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তি ও সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় বিভিন্ন আইন পাস করা হয়। এরপরও বিভিন্ন সময় এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এবং বিভিন্ন ব্যক্তির তরফ থেকে দরখাস্ত পেশ করা হয়। এই মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম, আওয়ামী লীগ ও অন্য পক্ষের যুক্তিগুলো।

বর্তমানে চলমান এই শুনানিতে সার্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে, বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ ও যুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে যাতে এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার সিদ্ধান্ত দ্রুত নেওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *