123 Main Street, New York, NY 10001

আন্তর্জাতিক বাজারে আকরিক লোহার দাম সামান্য কমেছে। বিশেষ করে, চীনের চাহিদা কমে যাওয়া এবং মজুতের পরিমাণ বাড়ার কারণে এই দাম পতন ঘটেছে। তবে এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির প্রত্যাশায় সপ্তাহজুড়ে এবং মাসজুড়ে দাম ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এই খবরটি নিশ্চিত করেছে বাণিজ্য বিষয়ক সংবাদ সংস্থা বিজনেস রেকর্ডার।

দালিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জের তথ্যে জানা গেছে, জানুয়ারি মাসের জন্য আসা সবচেয়ে বেশি লেনদেনের আকরিক লোহার চুক্তির দামের গত শুক্রবার ০.৯৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে মেট্রিক টনপ্রতি ৭৯৭ ইউয়ান বা ১১১.৮৯ ডলারে। তা সত্ত্বেও, পুরো সপ্তাহে এই দাম মোট ৩.৩ শতাংশ বেড়ে গেছে।

অন্যদিকে, সিঙ্গাপুর এক্সচেঞ্জে ডিসেম্বর মাসের আকরিক লোহার দাম ০.৬১ শতাংশ কমে টনপ্রতি ১০৫.৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে, সাপ্তাহিক দরের বৃদ্ধির হার ২ শতাংশে পৌঁছেছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ট্রাম্প-শি বৈঠকের পরে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির আশায় দাম কিছুটা সমর্থন পেয়েছে।

তবে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রভাব কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা আবার বাজারের মূল ভিত্তি ও মৌলিক পরিস্থিতির দিকে নজর দিচ্ছেন। মাইস্টিলের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত, চীনের গড় দৈনিক গরম ধাতু উৎপাদন আগের সপ্তাহের তুলনায় ১.৫ শতাংশ কমে ২৩.৬ লাখ টনে নেমেছে। একই সময়ে বন্দরের মজুতের পরিমাণ ০.৮ শতাংশ বেড়েছে।

অক্টোবর মাসেও, চীনের কারখানা কার্যক্রমে সংকোচন অব্যাহত থাকায় বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর পাশাপাশি, ইস্পাত উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ হিসেবে কোকিং কয়লা ও কোকের দর যথাক্রমে ১.০৪ শতাংশ ও ০.৫৮ শতাংশ বেড়েছে। শাংহাই ফিউচার্স এক্সচেঞ্জের তথ্যে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ইস্পাত পণ্যের দামে পতন হলেও ওয়ার রডের দাম ০.১২ শতাংশ বেড়েছে।

এভাবে, বিশ্ববাজারে নানা কারণে ইস্পাত ও সম্পর্কিত উপকরণের দাম পরিবর্তিত হলেও সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে বোঝা যায়, বাণিজ্য চুক্তির প্রত্যাশায় দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *