123 Main Street, New York, NY 10001

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত বুধবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ওপেনার তানজিদ হাসান ৪৮ বলে ৬১ রান করেন। এই ইনিংসটি বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ১৫০ রানে, যেখানে একজন ব্যাটসম্যান এরকম পারফরম্যান্স করে থাকলে দলের জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি হয়। তবে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে অন্য ব্যাটসম্যানরা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি, বিশেষ করে জাকের আলী ও শামীম হোসেন ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ ম্যাচটি হেরে যায় ১৪ রানের ব্যবধানে। এই পরাজয়ে অবশ্য তানজিদের অঙ্গুলীকম্পিত থাকেনি। তিনি গড়ে তুলেছেন এক নতুন রেকর্ড। গত বুধবারই তানজিদ বাংলাদেশের হয়ে এক বছরে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি রান করার রেকর্ড গড়লেন। চলতি বছর তিনি ২৩ ইনিংসে ৬২২ রান করেছেন, সুদৃঢ় স্ট্রাইকরেট ১৩৫.২১-এ। তার এই পারফরম্যান্সে ফিফটির সংখ্যাও ৬টি, গড় ২৯.৬১। পাশাপাশি, এই বছরই তিনি ছয়টি ছক্কার মাধ্যমে বাংলাদেশের এক বছরে সর্বোচ্চ বড়ো ছয়টি হাঁকালেন। এর আগে বাংলাদেশের এক বছরে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। ২০২১ সালে নাঈম ২৬ ইনিংসে ৫৭৫ রান করেছিলেন, স্ট্রাইকরেট ছিল ১০০.৩৪, গড় ২৩। সেই বছর তিনি তিনটি ফিফটি পেলেন। তালিকায় নাঈমের পরের দুটি নাম হলো লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। লিটন ২০২৩ সালে ২১ ইনিংসে ৫৬৪ রান করেছেন, স্ট্রাইকরেট ১৩২.৭০ এবং গড় ২৯.৬৮। ২০২২ সালে তিনি ৫০০ এর বেশি রান করেছিলেন, মোট ৫৪৪ রান, স্ট্রাইকরেট ১৪০.২০। আফিফ ২০২২ সালে ৫০০ রান করে স্ট্রাইকরেট ছিল ১২৩.৭৬। অন্যদিকে, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহরা কখনই এক বছরে ৫০০ রানের ক্লাবে প্রবেশ করতে পারেননি। মাহমুদউল্লাহ ২০২১ সালে ৪৯৬ রান করেছিলেন, ২০১৮ সালে তার রান ছিল ৪১৪। মুশফিক ও সাকিব কখনো এক বছরে ৪০০ রানের বেশি করে উঠতে পারেননি। সাকিবের সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৪৯, ২০২২ সালে, এবং মুশফিকের সর্বোচ্চ ৩৯৭ রান ছিল ২০১৮ সালে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *