123 Main Street, New York, NY 10001

গত এশিয়া কাপে বাবর আজম ছিলেন পাকিস্তান দলের অধিনায়ক, আর তার সর্বশেষ আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিও ওই টুর্নামেন্টে। ২০২৩ সালের ৩০ আগস্ট, নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে বাবর ১৫১ রানের এক দারুণ ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন। তবে এবার গল্পটা অন্যরকম। এবারের এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্টি সংস্করণে পাকিস্তান দলে বাবরকে স্থান দেওয়া হয়নি।

বাবর সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহক তিনি, প্রায় ৪০ গড়ে ৪ হাজার ২২৩ রান করে রেখেছেন। তার ঝুলিতে আছে ৩৬টি ফিফটি এবং ৩টি সেঞ্চুরি। তবে স্ট্রাইক রেট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনার মুখে ছিলেন বাবর। অনেকে মনে করেন, তিনি দলের জন্য নয়, নিজের জন্য খেলছেন—এমন প্রশ্নের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। ফলে এক সময় পাকিস্তান দল থেকে বাদও পড়েন তিনি। গত বছর ডিসেম্বরের পরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরকেও তিনি আর সুযোগ পাননি। এরপর পাকিস্তান দল তার অধীনে চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে, যার মধ্যে দুইটি জেতা এবং দুটি হারা—একটি বাংলাদেশে, অন্যটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এছাড়া বাংলাদেশের মাটিতে লিটন দাসের দলের বিপক্ষে সিরিজে পাকিস্তান হেরেছে, আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছে অন্য একটা ম্যাচ।

তবে এতসব কিছু থাকলেও, এবারের এশিয়া কাপের জন্য পাকিস্তান বড় টুর্নামেন্টে প্রথমবার বাবর ছাড়া খেলতে যাচ্ছে। প্রথমে অনেকেই আশা করেছিলেন, বাবরকে এই স্কোয়াডে রাখা হবে। কিন্তু আজ ঘোষণা করা দলে তার নাম ছিল না। এর কারণ হিসেবে কোচ মাইক হেসন এক দারুণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বাবর প্রথম ওয়ানডে ভাল খেলেছিল, তবে পরের দুই ম্যাচে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। আমরা তাকে কিছু বিষয় উন্নত করার জন্য চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছি, বিশেষ করে স্পিনের বিপক্ষে খেলার ধরন এবং স্ট্রাইক রেটের ক্ষেত্রে। বাবর এ বিষয়ে খুব কঠোর পরিশ্রম করছে।’

হেসনের কথামতো, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাবর আজমের স্ট্রাইক রেট ১২৯.২২। তবে এই সংস্করণে, তার স্পিনের বিরুদ্ধে স্ট্রাইক রেট ১২১.৫৪।

এদিকে, পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্বে আছেন সাহিবজাদা ফারহান, যিনি দারুণ ছন্দে আছেন। চলতি বছর তিনি মাত্র ২৫ ইনিংস খেলে ৭৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। সাইম আইয়ুব ও ফখর জামানও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। কোচ হেসন বলেছেন, ‘বর্তমানে দলে থাকা খেলোয়াড়রা সবাই খুব ভালো পারফর্ম করছে। সাহিবজাদা ফারহান মাত্র ছয় ম্যাচে তিনবার ম্যাচসেরা হয়েছে। বাবরের মতো একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের জন্য বিগ ব্যাশে খেলার সুযোগ পাওয়া এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে উন্নতি করার সুযোগ থাকাটাও খুবই ইতিবাচক।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *