123 Main Street, New York, NY 10001

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা আইসিসিসহ অবরোধের জন্য ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই অবরোধের কারণে এখানকার সাধারণ জীবনযাপন একেবারেই বিপর্যস্ত। দেশের সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন হামলা এবং গুলি চলায় জীবনযাত্রা উদ্বেগজনকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর মাঝেই পুষ্টিকর খাবারে স্বাভাবিকভাবে পৌঁছানো যেন এক স্বপ্নের মতো, যা এখন অনেকের কাছে দূরপ্রসার্য মনে হয়। সমস্যা আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন মানবিক সহায়তা গাজায় প্রবেশে ইসরায়েল বাধা সৃষ্টি করে। এমনকি ফিলিস্তিনি জেলেদের জন্য সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়, ফলে সাধারণ মানুষ খাদ্যসংকটের মুখোমুখি হয়। ১০ অক্টোবর মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর খানিকটা স্বস্তি ফিরে আসে। বাজার খোলা হয়, শিশুরা দীর্ঘ সময় পর মুখ দেখায় ও পুষ্টিকর খাবার পায়। এমন সময় এক ফিলিস্তিনি বাবা এক বছরের বেশি সময় পর সন্তানদের জন্য মুরগির মাংস কিনে আনেন। মুরগি দেখে ছোট একজন শিশু আনন্দে হারিয়ে যায় এবং সিজদায় লুটিয়ে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের মাঝে বসে থাকা তিন শিশুর উচ্ছ্বাসে ভরে ওঠে তাদের ছোট ঘর। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। আল জাজিরা জানায়, শিশুরা মুরগি দেখে “আল্লাহু আকবর” বলে চিৎকার করে এবং বলেছে, “আল্লাহ মহান, সত্যিই মুরগি!” অন্য এক ভিডিওতে দেখা যায়, একজন শিশুকে আপেলের নাম জিজ্ঞেস করলে সে ভুল করে “তরমুজ” বলে। যুদ্ধের দাপটে শিশুরা এমন পরিস্থিতিতে আক্রান্ত, যেখানে ফলের নামও ভুলে গেছে। দুই বছরের চলমান যুদ্ধের কারণে গাজা আজ ভয়ঙ্কর খাদ্যসংকটে সংকটে পড়েছে। অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়ে শত শত শিশু মারা গেছে। অনেক শিশুই বেঁচে থাকার জন্য ঘাস, লতা-পাতা খেয়েও দিন কালাচ্ছে। বিশ্ববিখ্যাত বিভিন্ন সংস্থা বলছে, ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজা এখন এক নীরব ভূখণ্ড—স্কুল, মসজিদ, হাসপাতাল, বাজার এবং শরণার্থী shিবির পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপে পরিণত। পুষ্টিকর খাবার আজ লালসা বা বিলাসিতা হয়ে উঠেছে হাজারো ফিলিস্তিনির জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *