123 Main Street, New York, NY 10001

মার্কিন প্রথম মহিলা মেলানিয়া ট্রাম্পের লেখা একটি বিশেষ চিঠি আলাস্কার শীর্ষ বৈঠকের সময় উপস্থিত ছিলেন। ট্রাম্প এই চিঠিটি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে একটি উপহার হিসেবে প্রদান করেন। চিঠিতে শিশুদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে শান্তির পথে হাঁটার জন্য পুতিনকে আহ্বান জানানো হয়। এ খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি।

শনিবার আলাস্কায় অনুষ্ঠিত এই শীর্ষ সম্মেলনে ফার্স্ট লেডির দপ্তর ফক্স নিউজের মাধ্যমে এই চিঠির বিষয়টি প্রকাশ করে। ওই দিন বিকালে ট্রাম্প ও পুতিন ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনা করেন, তবে কোনও অগ্রগতি ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।

ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, যখন ট্রাম্প পুতিনকে চিঠিটি উপহার দেন, তখনই তিনি সেটি পড়ে ফেলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে দুই দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

চিঠিতে লেখা ছিল, ‘আজকের পৃথিবীতে কিছু শিশু মনের অন্ধকারের কারণে নীরবে হাসি চাপতে বাধ্য হচ্ছে।’ তবে এই চিঠিতে ইউক্রেনের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘মি. পুতিন, আপনি চাইলে একাই শিশুদের হাসি ফিরিয়ে দিতে পারেন। শিশুদের নিষ্পापতা রক্ষার মাধ্যমে আপনি না কেবল রাশিয়ার জন্য কাজ করবেন, বরং মানবতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবেন।’

চিঠির অন্য অংশে লেখা ছিল, ‘এমন সাহসী চিন্তা মানুষের মধ্যকার সব বিভাজন দূর করে। আপনি যদি এই কথাগুলো বাস্তবায়ন করেন, তা এক আঁচড়ে সব দ্বেষ বা বিভক্তি ঘোচাতে পারে। এখনই এই বিষয়টি গ্রহণের সময়।’

গত জুলাইয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছিলেন যে, তার স্ত্রী. পুতিন সম্পর্কে তাঁর মনোভাব বদলানোর জন্য আলাস্কার অভিজ্ঞতা তাকে অনেকটা সাহায্য করেছে। ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি যখন বাড়ি ফিরে প্রথম মহিলা ও বললাম, “জানা তো, আজ আমি পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছি, খুব সুন্দর সময় কাটল,” তখন তিনি বলেছিলেন, “ওহ, তা কি! তবে আজ তো আবার একটি শহরে হামলা হয়েছে।”’

দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধান করবেন।

প্রাথমিক সময়ে ট্রাম্প ইউক্রেনের জন্য দায়ী করেন চুক্তি না হওয়ার জন্য। তবে পরবর্তীতে তিনি পুতিনের হামলা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।

আলাস্কার বৈঠকের আগে ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছিলেন, যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে রাশিয়া ‘কঠোর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি যুদ্ধের শান্তিচুক্তির ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ করার একমাত্র উপায় হলো সরাসরি শান্তিচুক্তি।’

পুতিন দীর্ঘদিন ধরে সেই শান্তিচুক্তির বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় সহযোগীরা মনে করেন, এ আলোচনা সময় নষ্টের কৌশল, যাতে রাশিয়া আরও সামরিক অগ্রগতি অর্জন করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *