দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনে গিয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সরকার পরিকল্পনা করছে বেশ কিছু স্থলবন্দর প্রাইভেট সেক্টরের কাছে হস্তান্তর করার জন্য। এর পাশাপাশি, যে সব বন্দরে থেকে সরকারি রাজস্ব আহরণ সম্ভব নয়, সেগুলোর বন্ধের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুরে হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, দেশে বর্তমানে ২৪টি স্থলবন্দর রয়েছে, এর মধ্যে ইতোমধ্যে চারটি বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও, আরও চারটি অলাভজনক স্থলবন্দর বন্ধ করার প্রক্রিয়া চলমান। উপদেষ্টা জানান, উন্নয়নশীল বন্দরগুলোর জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা তৈরির কাজ চলছে এবং ধাপে ধাপে এসব ব্যবস্হার সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দর সভाकক্ষে কাস্টমস, বন্দরের কর্মকর্তারা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যবসায়ীরা রাস্তাঘাটের সংস্কার, ওয়ারেহাউস, এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন সমস্যা উত্থাপন করেন এবং দ্রুত সমাধানের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। উপদেষ্টা সেনা সদস্যরা হিলি স্থলবন্দর ও কাস্টমস বিভাগের বিভিন্ন অবকাঠামো পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমস্যা সমাধানে দিকনির্দেশনা দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, রংপুর কাস্টমসের বিভাগীয় কমিশনার অরুণ কুমার বিশ্বাস, হিলি কাস্টমসের সহকারী কমিশনার এএসএম আকরামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।