123 Main Street, New York, NY 10001

২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৩.৬৯ শতাংশ, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর প্রতিবেদন। এছাড়াও, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৪.২২ শতাংশ। অর্থনীতির ধারাবাহিকতা পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে স্থির মূল্যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩.৩৫ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে বেশি, যেখানে ছিল ২.১৪ শতাংশ। মোট চার প্রান্তিকের গড় হিসেব করলে, এই অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ৩.৬৯ শতাংশে। চলতি মূল্য অনুযায়ী, চতুর্থ প্রান্তিকে দেশের মোট জিডিপির আকার পৌঁছে ১৪ হাজার ৪০১ বিলিয়ন টাকায়, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৩ হাজার ১৭৭ বিলিয়ন টাকা। খাতভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমেছে। ২০২৪-২৫ এর শেষ প্রান্তিকে কৃষি খাতে স্থির মূল্যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩.০১ শতাংশ, যা আগের বছরে ছিল ৪.১১ শতাংশ। প্রথম তিন প্রান্তিকে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি ছিল যথাক্রমে ০.৭৬, ১.২৫ ও ২.৪২ শতাংশ। অন্যদিকে, শিল্প খাতের পারফরম্যান্স ভালো অবস্থানে রয়েছে। বছরে শেষ প্রান্তিকে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.১০ শতাংশ, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল মাত্র ১.০৮ শতাংশ। প্রথম তিন প্রান্তিকে শিল্পের বৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ২.৪৪, ৭.১০ ও ৬.৯১ শতাংশ। সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি কিছুটা ধীরগতির হয়েছে। শেষ প্রান্তিতে এই খাতের বৃদ্ধি হয়েছে ২.৯৬ শতাংশ, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ৩.৬১ শতাংশ। প্রথম তিন প্রান্তিকে এই খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ২.৪১, ৩.৭৮ ও ৫.৮৮ শতাংশ। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সাবেক ঢাকা অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সামগ্রিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি গত কয়েক বছর থেকে বেশ কম হয়েছে।’ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রাথমিক অনুমান ছিল ৩.৯৭ শতাংশ, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তা আরও কমে যাচ্ছে।’ ড. জাহিদ আরও জানান, ‘এটি কোভিড-পরবর্তী সময়ের মধ্যে সবচেয়ে নিম্ন প্রবৃদ্ধি হতে পারে, যদিও মহামারীর সময়ের চেয়েও কিছুটা ভালো। তিনি এই অর্থবছরকে অর্থনীতির জন্য ‘বিপর্যয়কর বছর’ হিসেবে আখ্যা দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *