123 Main Street, New York, NY 10001

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি বেশ ইতিবাচক প্রবণতা দেখিয়েছে। এই সময়ে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪.৭৯ শতাংশ বেশি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) দ্বারা প্রকাশিত দেশের রপ্তানি সংক্রান্ত তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বরে মোট আরএমজি রপ্তানির ৪৭.৬০ শতাংশ অঙ্কের রপ্তানি হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-তে, যা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাজার। এ বাজার থেকে রপ্তানি আয় হয় ৪.৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়ন নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ২.০১ বিলিয়ন ডলার বা ২০.১৮ শতাংশ, কানাডায় ৩৩৬.৭০ মিলিয়ন ডলার বা ৩.৩৮ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যে ১.২২ বিলিয়ন ডলার বা ১২.২৩ শতাংশ।

বছরেক বছরে তুলনা করলে দেখা যায়, ইউরোপে রপ্তানি ৩.৬৪ শতাংশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৮.৬০ শতাংশ, কানাডায় ১৩.৬৩ শতাংশ ও যুক্তরাজ্যে ৬.৭৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশেষ করে অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি ০.৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে নিটওয়্যার খাতে রপ্তানি বেড়েছে ৪.৩১ শতাংশ, আর ওভেন শিল্পে রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৫.৪১ শতাংশ।

অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রপ্তানি আয়ের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২.৩১ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৬৪ শতাংশ বেশি।

প্রথম তিন মাসের রপ্তানি তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে এ আয় ছিল ১১.৬৬ বিলিয়ন ডলার।

তথাপি, সামগ্রিকভাবে প্রগতিশীল এই প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি কমে যায় ৪.৬১ শতাংশে। সে সময়ে সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি আয় ছিল ৩.৬৩ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই মাসের ৩.৮০ বিলিয়ন ডলার থেকে কম।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, তৈরি পোশাক বা আরএমজি খাত এখনও বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের শীর্ষস্থান অধিকার করে রেখেছে। JULY-সেপ্টেম্বরে এই খাতে আয় হয়েছে ৯.৯৭ বিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ৪.৭৯ শতাংশ বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *