123 Main Street, New York, NY 10001

আগামী ১৫ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়Julai জাতীয় সনদে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রবেশ করবেন দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অ Interim সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এটি বেলা ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টারী ভবনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করা হয়।

বৈঠকে আলোচনা হয়, জুলাই সনদের বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের মতামত বিশ্লেষণ করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পাঁচটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব মতামত ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে শিগগিরই সরকারকে একটি সুপারিশ প্যাকেজ জমা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে বহু আশা প্রকাশ করা হয়, যারা রাজনৈতিক দল ও বিষয়ে মতামত দিয়েছেন, তাদের স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই সনদ কার্যকর হবে।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ, ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া সহ বিভিন্ন সদস্য বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার সহকারী মনির হায়দারও আলোচনা অংশগ্রহণ করেন।

নির্মিত এই ঐক্য কমিশন রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে যৌথ আলোচনার মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি করে। যদিও সনদ বাস্তবায়নের দিক নিয়ে দলগুলোর মধ্যে কিছু মতভিন্নতা এখনও রয়ে গেছে। উল্লেখ্য, গত বুধবারের সংলাপে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, এই উন্নয়নের জন্য সরকারের জন্য একটি নির্দিষ্ট প্যাকেজ সুপারিশ প্রস্তুত করা হবে। তবে বৈঠকের মূল বিষয় ছিল মূলত জুলাই সনদে স্বাক্ষর ইভেন্টটি। সেটি চূড়ান্ত করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার পর ১৫ অক্টোবর বেলা ৩টায় এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।Originally, এটি চীনা-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পরে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় স্থানান্তর করা হয়।

এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অবশ্যই নির্বাচন করা ৩০ রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নাম পাঠানো অনুরোধ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশির ভাগ দল এ ব্যাপারে তাদের নাম পাঠিয়েছে। বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)সহ অন্যান্য দল ইতিবাচক সাড়া দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ড. আলী রীয়াজ বলেন, বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত থেকে আমি আশাবাদী, শিগগিরই তারা একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে যা সরকারকে সুপারিশ হিসেবে উপস্থাপন করা হবে। তিনি আরও বলেন, এই প্রতিবেদনটি ১৮-১৯ অক্টোবরের মধ্যে প্রকাশিত হবে, যাতে পুরো প্রক্রিয়া ও দলিলের বিবরণ থাকবে।

অন্য দিকে, ৫ অক্টোবরের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে। এর কিভাব ও কবে হবে তা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, একটি আদেশ জারি করে এই ভোটের আয়োজন হবে, যেখানে বৃহত্তম ঐক্য নিয়ে মতামত থাকবে এক পাশে, এবং মতবিরোধ বা নোট অব ডিসেন্ট অন্য পাশে থাকবে। এর মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনের জন্য সংবিধান গঠন পরিষদ ও সংসদ গঠনের কাজ শুরু হবে। অনুমোদন পেলে, সংশোধিত সংবিধানে জুলাই সনদের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *