123 Main Street, New York, NY 10001

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার লক্ষ্য নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল তুরস্কে পৌঁছেছেন। নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (মিডা) এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। এই সফরটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগের সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল খাতে তুর্কি বিনিয়োগ আকৃষ্টের জন্য উদ্যোগ চালাচ্ছে।

সফরে কোম্পানি ও খাতভিত্তিক বৈঠকগুলো মূলত হয় দেশের শীর্ষ শিল্প ও ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর সঙ্গে, যারা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে বা ভবিষ্যতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। আলোচনায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হলো বস্ত্র, রিটেইল, বিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, প্রসেসড ফুডস, প্রযুক্তি, লজিস্টিকস, নির্মাণ, ভোক্তাপণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস, স্বাস্থ্যসেবা, ইলেকট্রনিক্স ও কনজিউমার অ্যাপ্লায়েন্সের বিনিয়োগ সম্ভাবনা। এছাড়া, বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য প্রশাসনিক জটিলতা কমানো, ব্যবসার সুবিধা বৃদ্ধি ও সংস্কার কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হবে।

তুরস্কের জাতীয় বিনিয়োগ প্রচারণা সংস্থা ইনভেস্ট ইন তুরস্কের সহযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল তুরস্কের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে পরবর্তী সময়ে বিনিয়োগের বিভিন্ন দিক নিয়ে মতবিনিময় করবেন। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ তার বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা আরও আধুনিক, বিনিয়োগবান্ধব ও ডিজিটাল করার উদ্যোগ নেবে।

সফরের শেষ দিনে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ-তুরস্ক বিনিয়োগ সেমিনার, যেখানে বিডা ও বাংলাদেশ দূতাবাস যৌথভাবে আয়োজিত। এই সেমিনারে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলো তুলে ধরা হবে এবং আন্তর্জাতিক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন। সেখানে খাতকোথা ভিত্তিক উপস্থাপনা, প্রশ্নোত্তর ও নেটওয়ার্কিং সেশন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে তুর্কি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি আলাপচারিতা করবেন।

বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, “বিশ্ব এখন বাংলাদেশকে নতুন দৃষ্টিতে দেখছে। আমাদের লক্ষ্য কেবল বিনিয়োগ আকর্ষণ নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা। তুরস্কের শিল্প ও বৈশ্বিক অবস্থান বাংলাদেশের সঙ্গে প্রযুক্তি স্থানান্তর, যৌথ উদ্যোগ ও বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে সক্ষম।”

এটি বাংলাদেশের বৃহত্তর অর্থনৈতিক ভিশনের অংশ, যেখানে উদ্ভাবন, প্রতিযোগিতা এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ও টেকসই অর্থনীতি গড়ে তোলা হবে। এই সফর বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব সংস্কার, আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব এবং টেকসই উন্নয়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *