123 Main Street, New York, NY 10001

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সঙ্গে জড়িত অভিযাত্রীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পরিবর্তে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইসরায়েলী নেত্রী ইতমার বেন-গিভর তাদের কারাগারে পাঠানোর পক্ষপাতী। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত এক বার্তায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

বেন-গিভর বলেন, ‘অভিযাত্রীরা যদি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু কর্তৃক দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তারা আবার ফিরে আসবে। এ যেন বারবার ফিরে আসার অপেক্ষা। আমি মনে করি, এখনই তাদের দেশে ফিরিয়ে না পাঠিয়ে কিছু মাস ইসরায়েলের কারাগারে রাখা উচিত। এতে তারা সন্ত্রাসীদের গন্ধে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।’ এর আগে এক্সে পোস্ট করা এক ভিডিওবার্তায় তিনি অভিযাত্রীদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দেন।

ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য ও ওষুধ নিয়ে গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বন্দর থেকে গাজা উপকূলের দিকে যাত্রা শুরু করেছিল ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ মিশনের ৪৩টি নৌযান। এই ফ্লোটিলাকে সমর্থন দিচ্ছিল ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন, গ্লোবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা, এবং সুমুদ নুসানতারা— এই চার আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

এই মিশনের মূল উদ্যোক্তা ছিল ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)।

অনেকে উল্লেখ করেছেন যে, সুইডেনের নাগরিক ও পরিবেশ আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি ও রাজনীতিবিদ মান্ডলা ম্যান্ডেলাসহ ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ নাগরিক এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তারা বিভিন্ন পরিচয় রাখতেন— কেউ পার্লামেন্টারিয়ান, কেউ আইনজীবী, কেউ রাজনৈতিক আন্দোলনকর্মী, আবার কেউ বা স্বেচ্ছাসেবী।

কিন্তু গাজার জলসীমার কাছাকাছি পৌঁছানোর পর ইসরায়েলি নৌবাহিনী একে একে সব নৌযান ও অভিযাত্রীদের আটক করে আশদোদ বন্দরে নিয়ে যায়। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, তারা এখনও সেই বন্দরে রয়েছেন।

সূত্র: আলজাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *