123 Main Street, New York, NY 10001

উসমান দেম্বেল তার হাতে তুলে নিলেন ব্যালন ডিঅর ট্রফি, যা এই award-এর ইতিহাসে এক বিশেষ উচ্চতা। এই ছয়জন ফরাসি ফুটবলারের মধ্যে দেম্বেলে ষষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে ব্যালন ডিঅর জিতলেন, যা ফ্রান্সের জন্য গর্বের বিষয়। এর আগে ফরাসি খেলোয়াড়রা এই পুরস্কার জিতেছেন রাইমন্ড কোপা, মিশেল প্লাতিনি, জ্যঁ পিয়েরে পাপিন, জিনেদিন জিদান এবং করিম বেনজেমার মাধ্যমে। এই ছয়জনের মোট জেতার সংখ্যা ৮ বার, যার মধ্যে ৩ বার করে জিতেছেন প্লাতিনি, আর বাকিরা একবার করে।

বিশ্ব ফুটবল ইতিহাসে ফ্রান্সের এই অর্জন দেখিয়ে দেয় তাদের ফুটবল শক্তিকে। তবে এই রেকর্ডের পেছনে রয়েছে অন্য রেকর্ডও। যেখানে ফ্রান্সের ছয়জন খেলোয়াড় মিলিয়ে ৮ বার ব্যালন ডিঅর জেতেন, সেখানে আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি একাই জিতেছেন ৮ বার, যা এককভাবে সর্বোচ্চ। এই রেকর্ড তার ব্যক্তিগত কীর্তি, যা তাঁর ফুটবল ক্যারিয়ারকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে।

মেসি প্রথম ব্যালন ডিঅর লাভ করেন ২০০৯ সালে। এরপর ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে তিন বছর এই পুরস্কার পান। ২০১৫ সালে তিনি আবার এই ট্রফি পান, এরপর ২০১৯, ২০২১ এবং ২০২৩ সালে। এভাবেই তাঁর এই বিশাল সফলতা ধরে রাখা।

ফ্রান্সের জন্য প্রথম ব্যালন ডিঅর জেতেন রাইমন্ড কোপা। এরপর মিশেল প্লাতিনি হ্যাটট্রিক করে ১৯৮৩, ১৯৮৪ এবং ১৯৮৫ সালে। জ্যঁ পিয়েরে পাপিন জিতেছেন ১৯৯১ সালে, আর জিনেদিন জিদান লাভ করেন এই ট্রফিটি ১৯৯৮ সালে, বিশ্বকাপ জয়ের পর। দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ২০২২ সালে এই পুরস্কার পান করিম বেনজেমা। এবার দেম্বেলে এই ট্রফি জিতেছেন।

এছাড়া, দেশ হিসেবে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা সমান ৮ বার এই পুরস্কার জিতলেও, অন্য উল্লেখযোগ্য দেশগুলির মধ্যে রয়েছে জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও পর্তুগাল। পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো একাই এই পুরস্কার পেয়েছেন ৫ বার। আরও ৫ বার করে এই পুরস্কার জিতেছেন ইউসেবিও ও লুইস ফিগো। ইতালি ও ব্রাজিলের প্রতিটি দেশে এই ট্রফি জেতা সংখ্যাটি ৩ ও ২ বার। ব্রাজিলের রোনালদো নাজারিও 2 বার এই পুরস্কার অর্জন করেছেন। এভাবে ফুটবল ইতিহাসে বিভিন্ন দেশের অবদান স্পষ্ট হয়ে উঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *