123 Main Street, New York, NY 10001

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীন একসাথে এগিয়ে যাবে তাদের গভীর কৌশলগত সহযোগিতা ও অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে। এই সহযোগিতার ফলে উভয় দেশের জনগণের জীবনমান উন্নত হবে, শান্তি, সমৃদ্ধি এবং সুখ বয়ে আসবে। এই মন্তব্য তিনি বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাসের আয়োজিত বিশাল এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে তিনি চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের প্রতি গভীর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানান, পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, চীন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, দারিদ্র্য বিমোচনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে, যা বিশ্ব উষ্ণতার জন্য অনুপ্রেরণা। তিনি আরো উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জন্য চীন সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য বন্ধু। চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন অনুষ্ঠানটিতে বলেন, ২০২৫ সালে চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পাশাপাশি জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকীও উদযাপিত হবে। তিনি চীনের শান্তি রক্ষার জন্য তার আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেন এবং বলেন, শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে চীন সব সময় বিশ্বে একটি শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে এসেছে। তিনি বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে, চীন দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে এবং বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের গভীর সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, ভবিষ্যতেও এই সম্পর্ক বন্ধুত্ব ও প্রকৃত কৌশলগত স্বার্থের ভিত্তিতে অব্যাহত থাকবে। এর পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণে চীনের অবদান অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের উন্নয়ন, শিক্ষা, প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্যসেবায় চীনের দেয়া অবদানের প্রশংসা করেন। বিশেষ অতিথি সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, দু’দেশের বন্ধন গভীর ও অটুট হয়েছে, যা এখন সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। অনুষ্ঠানে ছিলেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিদেশী কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, চীনা সম্প্রদায়ের সদস্য, শিক্ষাবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সদস্যরা—মোট ৬০০ জনের বেশি অতিথি। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় ইউনান গোল্ডেন অ্যান্ড সিলভার বার্ড আর্ট ট্রুপ ও কোয়ানঝো আর্ট ট্রুপের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, যেখানে নৃত্য, অ্যাক্রোব্যাটিক্স ও ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গীত উপভোগ করেন দর্শকরা। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন, চীনা জনগণের বিজয় এবং বিশ্ব ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ের স্মৃতিচারণমূলক প্রদর্শনী এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক স্টল পরিচালিত হয়, যা উপস্থিত সবাইকে দারুণ আনন্দ দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *