ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও আল-জাওফ প্রদেশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৩১ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে আলজাজিরা। এর একদিন আগে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলা চালানো হয়।
ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে আলজাজিরা জানিয়েছে, সানার আল-তাহরির এলাকার একটি আবাসিক ভবন, একটি চিকিৎসা কেন্দ্র এবং আল-জাওফ প্রদেশের রাজধানী আল-হাজমের সরকারি কমপাউন্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক ব্যক্তি আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হুথি নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টিভি দাবি করেছে, এই হামলায় সানার দক্ষিণ-পশ্চিমে থাকা স্বাস্থ্যখাতের একটি মেডিকেল সেন্টার এবং আল-হাজমে স্থানীয় সরকারি কার্যালয় লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এতে অনেক মানুষ নিহত এবং আহত হয়েছেন।
হুথি মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারে বলেছেন, ইসরায়েলি হামলা প্রতিহত করতে তারা সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ব্যবহার করেছেন। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিছু ইসরায়েলি বিমানকে পিছু হটতে বাধ্য করে। তিনি আরও বলেছেন, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একাধিক সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল নিক্ষেপ করে জায়নবাদী আগ্রাসনের মোকাবিলা করেছে।
অপরদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সানা ও আল-জাওফে হুথি গোষ্ঠীর সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলার লক্ষ্য ছিল হুথিদের সামরিক শিবির, সার্জেন্ট সদর দপ্তর এবং একটি জ্বালানি সংরক্ষণাগার।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, রামন বিমানবন্দরে হুথি ড্রোন হামলার পাল্টা এই আঘাত। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, যারা আমাদের আক্রমণ করবে, আমরা তাদের খুঁজে বের করে কঠোর জবাব দেব।
