123 Main Street, New York, NY 10001

বুধবার বিশ্ববাজারে তেলের দামের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে কাতারে ইসরায়েলি হামলা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রুশ তেল ক্রেতাদের উপর শুল্ক আরোপের আহ্বানের কারণে। যার ফলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে তেল সরবরাহের ওপর। তবে, বাজারে দুর্বল চাহিদা এবং সামগ্রিক মনোভাবের কারণে এই বৃদ্ধির গতি সীমিত ছিল।

প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স, এই দিন ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬১ সেন্ট বা ০.৯২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭ ডলারে পৌঁছায়। একই সময়ে মার্কিন পশ্চিম টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম ৬১ সেন্ট বা ০.৯৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৬৩.২৪ ডলারে।

বিশ্লেষকরা জানান, কাতারে ইসরায়েলি হামলার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে তেলের সরবরাহ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ জেগেছে। যদি ওপেকপ্লাসের সদস্য দেশের তেল স্থাপনাগুলো হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়, তাহলে স্বল্পমেয়াদে তেৎর সরবরাহ সংকট তৈরি হতে পারে। হামলার দাবি করেছে ইসরায়েল, তারা হামাসের নেতাদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে। কাতার সরকার এই হামলাকে শান্তি আলোচনার জন্য বড় হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে।

হামলার পর প্রথমে তেলের দাম প্রায় ২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল, তবে যুক্তরাষ্ট্র আশ্বস্ত করে যে এরকম ঘটনা আবার হবে না এবং সরবরাহে কোনো ব্যবধান সৃষ্টি হবে না, ফলে দাম স্থির হয়।

এদিকে, ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন চীন ও ভারতের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। তার লক্ষ্য হলো প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানো। চীন ও ভারত রাশিয়ার মূল তেল ক্রেতা। ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও, এই দুই দেশ রাশিয়ার অর্থনীতি সচল রাখতে সাহায্য করে গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি চীন বা ভারতের মতো বড় ক্রেতাদের উপর শুল্ক আরোপ করা হয়, তবে তা রুশ তেলের রপ্তানি বিঘ্নিত হতে পারে, যা বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ সংকোচনের মাধ্যমে দামের বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *