123 Main Street, New York, NY 10001

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এর সভাপতি তাসকীন আহমেদ বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চীনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি সোমবার ঢাকায় চীনা দূতাবাসে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনায় এ দাবি জানান। বৈঠকে তিনি বলেন, ২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য totaled ছিল ১৭.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের আমদানির পরিমাণ ছিল ১৬.৬৪ বিলিয়ন এবং রপ্তানির ৭১৫.৩৮ মিলিয়ন ডলার। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের টেকসই সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও এলডিসি (বিশেষ উন্নয়ন সুবিধা দেওয়া দেশ) থেকে উত্তরণের জন্য দু’দেশের বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ। তাসকীন আহমেদ বলেন, চীন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশ, এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন অবকাঠামো, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, খাদ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অটোমোবাইল, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, পাদুকা, লজিস্টিকস, স্বাস্থ্যসেবা, সেমিকন্ডাক্টর ও জাহাজ নির্মাণে চীনের সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকায় বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি জরুরি, এবং এর জন্য চীনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানান, গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ২০টিরও বেশি চীনা প্রতিষ্ঠান তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের রপ্তানি আরো বাড়বে। তিনি যোগ করেন, বিশেষ করে বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন (ইলেকট্রনিক ভেহিকেল) খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ রয়েছে চীনের বেশ কিছু উদ্যোক্তার, তবে এখাতে উচ্চ শুল্ক ও যথাযথ নীতিমালা না থাকায় বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেবে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮৫ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে, যা দীর্ঘমেয়াদি টেকসই নয়। তাই অন্য সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে রপ্তানি ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিতে বলেন। এছাড়াও, বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চীনের প্রযুক্তিগত সহায়তা গ্রহণেরও আহ্বান জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *