123 Main Street, New York, NY 10001

আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার লিওনেল মেসির সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচের আগে দেশটিতে সৃষ্টি হয়েছে বিষाद্রাবী পরিবেশ। আগামীকাল বুয়েনস আয়ার্সে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে নামবে আর্জেন্টিনা। এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে, ম্যাচের আগে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক চোখের পানি আনতে পারেননি, মনের আবেগে তিনি কেঁদে ফেলেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে কোচ লিওনেল স্কালোনি মেসির বিদায় উপলক্ষে কথা বলছিলেন, ঠিক তখনই ঘটনাটি ঘটলো। এক সাংবাদিক তিনি আবেগে ভেসে গিয়ে চোখের জল ফেললেন, যা দেখে উপস্থিত সবাই অবাক। স্কালোনি হালকা সুরে বললেন, ‘আপনি কি কাঁদছেন? এটা আমার উদ্দেশ্য ছিল না।’ এই জন্যে তিনি যেন নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারছেন না বলে বোঝা যায়। তখন ওই সাংবাদিক বলেন, ‘আপনি আমাকে জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দ দিয়েছেন।’

তারা এই কথোপকথনের মাঝে স্কালোনির চোখ ভিজে ওঠে, কণ্ঠ কাঁপতে থাকে। স্কালোনি বলেন, ‘আমি তার সঙ্গে খেলেছি, আর ওর জন্য বল পাস করাই ছিল খুবই বিশেষ। বিশ্বকাপে ওর সঙ্গে থাকা, ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে দেখা—এগুলো সত্যিই আবেগের বিষয়। সময়ের সঙ্গে সবাই এ বিষয়গুলো আরও ভালভাবে বুঝতে পারবে।’

স্কালোনি আশা ব্যক্ত করেন, ‘কালকের দিনটি হবে সুন্দর ও আবেগঘন। আমি মনে করি, এটা তার শেষ ম্যাচ নয় আর্জেন্টিনায়। আমরা নিশ্চিত করব, সে আবার খেলবে, যদি সে চায়। কারণ, এটা তার প্রাপ্য।’

মেসির প্রতি অনুভূতি প্রকাশ করে স্কালোনি আরও বলেন, ‘যদি আপনি এই অবস্থানে না থাকতেন, তাহলে বোঝা কঠিন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, সে আজও আমাদের সঙ্গে আছে এবং আমরা তাকে উপভোগ করছি। আমি যতদিন তার কোচ ছিলাম, প্রতিদিনই তার সঙ্গে काम করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি।’

মেসি এখন পর্যন্ত আর্জেন্টিনার হয়ে ১৯৩টি ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে তিনি করেছেন ১১২টি গোল। জাতীয় দলের হয়ে তিনি জিতেছেন চারটি শিরোপা—বিশ্বকাপ, দুইটি কোপা আমেরিকা, এবং একবার ফিনালিসিমা জিতেছেন।

স্কালোনি নিশ্চিত করেছেন, ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে তিনি মেসিকে মাঠে দেখা যাবে। তিনি জানিয়েছেন, ‘অবশ্যই, সে খেলবে, না খেলার কোনো প্রশ্ন নেই।’ তবে ইকুয়েডর বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচে সে খেলবে কি না, তা নির্ভর করছে ভেনেজুয়েলার ম্যাচের শেষে তার শারীরিক অবস্থার উপর।

এদিকে, মেসির পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা এই ম্যাচে উপস্থিত থাকবেন। তাই বুয়েনস আয়ার্সের এই ম্যাচটি হতে যাচ্ছে মেসির জীবনশেষের এক অমুল্য স্মৃতি ও ইতিহাসের অংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *