123 Main Street, New York, NY 10001

আর্জেন্টিনায় হয়তো আরও কিছু ম্যাচ খেলতে পারেন লিওনেল মেসি, তবে এই ঈঙ্গিত দেয় যে তার মাটিতে অন্তিম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচটি এখনই। এই মনোভাব পুরো আর্জেন্টিনাকে আবেগে ভাসিয়ে দিচ্ছে। তবে এই ম্যাচেই যে একটি বড় রেকর্ড তার জন্য অপেক্ষা করছে, সেটি মাঠে নামলেই তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে রেকর্ডটি দক্ষিণ আমেরিকার। আর্জেন্টিনা দলের হয়ে লাতিন আমেরিকার ক্ষেত্রে মেসি এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৭১টি ম্যাচ। আজ ভোরে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মাঠে নামলেই তার এই সংখ্যা একে একে পৌঁছে যাবে ৭২-এ, এবং তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন ইকুয়েডরের কিংবদন্তি ডিফেন্ডার ইভান উর্তাদোর রেকর্ডটি। দীর্ঘ দিন নিজের দখলে থাকা এই রেকর্ডটি এখন তার কাছ থেকে ছুঁড়ে দেয়ার পথে।

উর্তাদো তার ক্যারিয়ারে পাঁচটি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অংশ নিয়েছেন, ১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০০২, ২০০৬ ও ২০১০ সালগুলোতে। এই অভিজ্ঞতা তাকে একটি ঐতিহাসিক স্থান দিয়েছে।

অন্যদিকে, শুধু ম্যাচ খেলার ক্ষেত্রেই নয়, মেসি ইতোমধ্যে আরেকটি বিশাল রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন। তিনি দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ গোলদাতা, এখন পর্যন্ত তার গোলের মোট সংখ্যা ৩৪। বর্তমানে, তিনি যে কৃতিত্বের পাল্লায় আরও একটি যোগ করতে পারেন, তা হলো চলমান এই আসরে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে ওঠা। কলম্বিয়ার লুইস দিয়াসের করা ৭ গোলকে ছাড়িয়ে গেলে, মেসি আবারও শীর্ষে পৌঁছে যাবেন। বর্তমানে সেই তালিকায় তার গোল ৬, আর দিয়াসের ৭ গোল।

ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচের আগে মেসি বলেন, ‘এই ম্যাচটি আমার জন্য খুবই বিশেষ। কারণ এটি আমার আর্জেন্টিনায় শেষ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ। আমার পরিবার, বাবা-মা, স্ত্রী, সন্তানসহ সবাই দর্শক হিসেবে থাকবেন। এটিই আমার জীবনের এক বিশেষ অনুভূতি।’

এর সঙ্গে আরও একটি রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা রয়ে গেছে। গোল করলে তিনি আবারও ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে নিজের নাম লিখবেন। সব মিলিয়ে, আর্জেন্টিনায় মেসির এই শেষ মঞ্চটি হয়ে উঠছে এক অনন্য মুহূর্ত।

বিশেষ জার্সি আর এক পুরোনো গল্পের সঙ্গে এই ম্যাচের আনুষ্ঠানিকতা আরও অর্থবহ। আর্জেন্টিনা ও ভেনেজুয়েলার ম্যাচের পর গার্সিয়া ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘২০০৬-২০২৫। অনেক বছর কেটেছে, কিন্তু আমি এখনও তোমার অনুপ্রেরণায় আদর্শ।’ ২০০৬ সালে জার্মানিতে প্রথম বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার সময়ের সেই বিশ্বস্ত সাপোর্টার গার্সিয়া এখনো মেসির প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করে চলেছেন।

একই সঙ্গে তিনি একটি ছবি শেয়ার করে জানান, মেসি তাকে একটি স্বাক্ষর করা আর্জেন্টিনা জার্সি উপহার দিয়েছেন, সঙ্গে ছিল অধিনায়ক আর্মব্যান্ড। এই বিশেষ মুহূর্তগুলো মেসির জন্য এক আবেগঘন স্মৃতি।

এই ম্যাচটি তাই তার জন্য এক বিশেষ আবেগের মুহূর্ত। এটি তার আর্জেন্টিনার জার্সিতে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে যাচ্ছে। এরপর দল বাইরে যাবে ইকুয়েডরের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের জন্য।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে ভেনেজুয়েলা ও পুয়ের্তো রিকার বন্ধুত্ত্বপূর্ণ ম্যাচের পাশাপাশি ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি চলছেই, যেখানে আমেরিকা, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠিত হবে মূল আসর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *