123 Main Street, New York, NY 10001

বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরে বিপুল পরিমাণ ডলার কিনে নিচ্ছে যে কারণে ডলার বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। বিগত তিন অর্থবছর ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূলত রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে বাজারে নিয়ন্ত্রণ এনেছিল, তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে তারা নতুন পথ বেছে নিয়েছে। এই অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ছয় দফায় মোট ৬৮ কোটি ডলারের বেশি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সর্বশেষ মঙ্গলবার, অর্থাৎ গতকাল, তারা ৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ৪৭.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, বর্তমানে বাজারে ডলার চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশ বেশি। এই কারণে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করে, ব্যাংকগুলি এখন সরাসরি বাজার থেকে ডলার কিনছে। তিনি আরও জানান, এই প্রক্রিয়া ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে, যাতে বাজারে ডলারের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

ডলার কেনার প্রক্রিয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ (এফএক্স) নিলাম কমিটির মাধ্যমে মাল্টিপল প্রাইস অকশন পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। এক ডলার বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা পর্যন্ত।

এর আগে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচ দফায় ডলার কিনে। ১৩ জুলাই ১৮ ব্যাংক থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার, ১৫ জুলাই একই দরে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২৩ জুলাই ১২১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে এক কোটি ডলার, ৭ আগস্ট ১২১ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং ১০ আগস্ট ১১ ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে মোট ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার কেনা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা মনে করছেন, ডলারের দাম হঠাৎ করে অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে যাওয়া বা হঠাৎ কমে যাওয়া—উভয়ই অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। বর্তমানে দেশে খাদ্যের যথেষ্ট মজুত রয়েছে এবং বিদেশি দেনা পরিশোধও স্বাচ্ছন্দ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ফলে, অদূর ভবিষ্যতে ডলার চাহিদার তীব্রতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা কম।

তাদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই ডলার ক্রয় রিজার্ভকে আরও শক্তিশালী করবে। পাশাপাশি, জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে ডলারের চাহিদাও বাড়তে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *