123 Main Street, New York, NY 10001

পাকিস্তানের পাঞ্জাবে ব্যাপক বন্যা ও নদীভাঙনের কারণে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অস্বাভাবিক ভারি বর্ষণের পাশাপাশি ভারতের চেনাব, রাভি ও শতদ্রু নদীতে জল ছাড়ার ফলে এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানা গেছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সিয়ালকোট জেলার সাম্বারিয়া এলাকায় একটি পরিবারের পাঁচজনসহ মোট ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গুজরানওয়ালা বিভাগে ১৫ জন, গুজরাটে চারজন, নারোয়ালে তিনজন এবং হাফিজাবাদ জেলায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যার পানিতে কাসুর, নারোয়াল ও পিন্ডি ভাটিয়ান এলাকার শত শত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। দ্রুত প্রবল স্রোতে শত শত গবাদি পশু ভেসে গেছে এবং কয়েক হাজার একর ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাহাওয়ালনগরে অনেক বাড়িঘর ডুবে গেছে। চেনাব নদীর পানি বিভিন্ন গ্রামে প্রবেশ করেছে, যেমন চেনিওট ও ওজিরাবাদ। লাহোরের শাহদারা এলাকায় রাভি নদীর পানি ১ লাখ ৪৫ হাজার কিউসেক ছাড়িয়ে গেছে। যদিও স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, শীর্ষ প্রবাহ পেরিয়ে গেছে এবং পানির স্তর ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। শতদ্রু নদীতে বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। গণ্ডা সিং ওয়ালায় প্রবাহ ২ লাখ ৬১ হাজার কিউসেক এবং হেড সুলেমানকিতে ১ লাখ ৯ হাজার কিউসেক পৌঁছেছে। চিশতিয়ানে শক্তিশালী স্রোতে ছয়টি রক্ষাবাঁধ ভেঙে গেছে, যার ফলে তিন শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং প্রায় সাত হাজার একর ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাহাওয়ালনগর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত একশর বেশি গ্রাম পানিতে ডুবে গেছে এবং প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ৯০ হাজারের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালানোর জন্য বাধ্য হয়েছেন। প্রবল স্রোতে অস্থায়ী বাঁধ ভেঙে গেছে, পাশাপাশি অনেক বাড়িঘর ও মাঠের ফসল ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয় কৃষকরা বাড়ি রক্ষা করতে প্রায় আট কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ নির্মাণ করেছেন, তবে কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলছেন, যদি এই বাঁধ ভেঙে যায়, তাহলে প্রায় ২০ হাজার বাড়িঘর ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *