123 Main Street, New York, NY 10001

দুর্দান্ত স্বপ্ন দেখানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করা হয়েছে ২৪ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে। এটি দেশের জন্য একটি নতুন গণতান্ত্রিক চর্চার পথ খুলে দিয়েছে। বর্তমানে দেশটি একজন শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

ঢাকা ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্স (দায়রা) কর্তৃক আয়োজিত ‘বেঙ্গল ডেল्टा কনফারেন্স ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুক্রবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এসব কথা বলেন বক্তারা।

অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, যিনি বলেন, আমরা পুরোনো রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চাই না। আমি প্রত্যাশা করি, তরুণ সমাজ এই বিষয়ে রাজনৈতিকভাবে সচেতন থাকবে।

মালয়েশিয়ার সাবেক শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক মাজলি বিন মালিক মন্তব্য করেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ফিরে এসেছে। সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক এই অভ্যুত্থান পরবর্তীতে নেওয়া সংস্কারমূলক সিদ্ধান্তগুলো শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্যই নয়, বরং বিশ্বের অন্যান্য দেশের উন্নয়নের জন্য একটি মানদণ্ড হয়ে দাঁড়াবে।’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যার-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক সিদ্ধার্থ ভারদারাজান বলেন, ‘বাংলাদেশ তার ভবিষ্যৎ অর্থনীতির দিক নিয়ে নতুন করে ভাবছে।’ তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের বিগত সময়ের অগ্রগতি মার্কিন শুল্ক ও বাণিজ্য বিষয়ক সমস্যা মোকাবিলায় দেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তনেরই নির্দেশ করে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা সেরে মার্কিন শুল্কের কিছুটা হ্রাসও করা হয়েছে।

দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে আজ পর্যন্ত আমরা বারবার করে স্বপ্ন দেখেছি। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিশালী রাষ্ট্রব্যবস্থা তৈরি করতে না পারায় বারবার স্বপ্ন ভেঙে গেছে। তবে সম্প্রতি স্বৈরাচারী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে আবার স্বপ্ন দেখার নতুন সুযোগ পাচ্ছি।’ তিনি অবিরত বলেন, ‘২৪ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান আমাদের আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে।’

নেপালের সাবেক মন্ত্রী ড. দীপক গাওয়ালি জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ নেতাদের যারা নতুন দেশের স্বপ্ন দেখছে, তাদের অবশ্যই বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। এই দুই দিনব্যাপী বেঙ্গল ডেলটা কনফারেন্সের আয়োজন করেছে ঢাকা ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্স।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *