123 Main Street, New York, NY 10001

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দেশটির একগুঁয়েমি ও সংকটের মধ্য দিয়ে বলছেন, কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মাথা নত করবে না। তিনি রোববার রাজধানী তেহরানের এক মসজিদে এক ভাষণে এই আহ্বান জানান, যেখানে তিনি একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় ফ্রন্ট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। খামেনি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি ইরানের পারমাণবিক প্রকল্প নিয়েও তারা গভীর ষড়যন্ত্র করে চলেছে। তিনি অভিযোগ করেন, গত জুনে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে চালানো হামলাগুলি ছিল ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার অংশ, যাতে ইরানের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি তিনি বলছেন যে, আমেরিকার প্রভাবশালী এজেন্টরা ইউরোপে বৈঠক করে ইরানের শাসন ব্যবস্থা পতনের পরিকল্পনা করেছে। খামেনি স্পষ্ট করে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল উদ্দেশ্য হলো ইরানকে নিজের ইচ্ছামতো চালানো এবং ওয়াশিংটনের বলবান আনুগত্য নিশ্চিত করা। তবে, তিনি জোর দিয়ে বলেন, জুনের যুদ্ধের পরেও ইরান দৃঢ় ও শক্তিশালী হয়েছে বরং শত্রুরা আরও ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে তিনি বলেন, দেশের সেনাবাহিনী, সরকার ও জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে শত্রুদের মোকাবেলা করছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, বিদেশি শক্তির মূল কৌশল হলো ভেতর থেকে দেশকে দুর্বল করে দেয়া; এর জন্য তারা বিভেদের চোরা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। দেশবাসীর সার্বভৌমত্ব ও ঐক্যের প্রশংসা করে খামেনি বলেন, যখন দেশের স্বার্থ ও নিরাপত্তার প্রশ্ন আসে, তখন সকল মতের মানুষ একত্রিত হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দূতাবাসে জিম্মি সংকটের পর থেকে ইরান-আমেরিকান সম্পর্ক কঠোরভাবেই ভেঙে পড়েছে। তখন থেকে বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয় ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পের কারণে। পশ্চিমা দেশগুলো জোর দিয়ে বলেছে, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায়, যা তেহরান বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ। তবে ইরান বারবার এই দাবি অস্বীকার করেছে। গত জুনে অনুষ্ঠিত বিষয়ে আলোচনা পুনরুদ্ধারের জন্য মোট ছয় দফার বৈঠক হলেও, ইসরায়েলি হামলার কারণে এসব আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়। চলতি সপ্তাহে ইরানের পরিকল্পনা রয়েছে ইউরোপের তিন শক্তিধর দেশ- ব্রিটেন, ফ্রেন্স ও জার্মানির সঙ্গে আলোচনা চালানোর, যেখানে তারা সতর্ক করে দিয়েছে, যদি কোনো চুক্তি না হয়, তবে ভবিষ্যতে আবারও ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *