123 Main Street, New York, NY 10001

বিভিন্ন পর্যটন ও ব্যবসায়িক আলোচনা চলাকালীন, বাংলাদেশে সফররত পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেন। এই পরিদর্শনকালে তারা বন্দরের সক্ষমতা এবং অগ্রগতি সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

গত শুক্রবার বিকেলে, তারা চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এর আগে, বন্দরের পরিচালকদের কাছ থেকে রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, বন্দরের চেয়ারম্যান, বন্দরটির সাম্প্রতিক পরিস্থিতি, কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং, শ্রম ব্যবস্থাপনা, বিদেশি বিনিয়োগ এবং অটোমেশন বিষয়ক বিস্তারিত অবহিত করেন।

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, গত বছর বন্দরে রেকর্ডসংখ্যক কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। জাহাজের ওয়েটিং টাইম শূন্য থেকে দুই দিনে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি, জাহাজের গড় অবস্থানকাল (টার্নঅ্যারাউন্ড টাইম) কমানো ছাড়াও, অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশনে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে।

পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী এই উন্নতিগুলোর প্রশংসা করে বলেন, করাচি পোর্ট ট্রাস্টে হাচিসন পোর্ট গ্রুপ, আবুধাবি পোর্ট কর্তৃপক্ষ এবং পোর্ট কাশিমে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের টার্মিনাল পরিচালনা করছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি বৃদ্ধি, সরাসরি জাহাজ চলাচল এবং পারস্পরিক সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার জন্য আশাবাদী।

এ সময়, অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা এবং উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করেন।

পরিদর্শনের সময়, পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল পুরো বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম গভীর আগ্রহে পর্যবেক্ষণ করেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান দূতাবাসের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ দূত জেইন আজিজ, বাংলাদেশের অতিরিক্ত সচিব (ডব্লিউটিও অনুবিভাগ) ড. নাজনিন কাউসার চৌধুরী, বন্দরের বে টার্মিনালের প্রকল্প পরিচালক কমডোর মো. মাহফুজুর রহমান এবং বন্দরের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *