123 Main Street, New York, NY 10001

আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) স্থায়ী প্রতিনিধি এইস ই মাইকেল মিলার ও শ্রম সচিব এ এইচ এ মামিক আলোচনা করেন। মূল আলোচ্য বিষয় ছিল শ্রমখাতের সহযোগিতা জোরদার, শ্রমিকের অধিকার রক্ষা, শ্রম আইন আধুনিকীকরণ, ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার ডিজিটালাইজেশন এবং শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা নিষ্পত্তি। এর পাশাপাশি শিশুশ্রম ও জোরপূর্বক শ্রম নিরসন, সামাজিক সংলাপের ব্যাপকতা বৃদ্ধি এবং কারখানা পরিদর্শন কার্যক্রম বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বৈঠকে জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বরে স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তির ১৮ দফা দাবির বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাজ এগিয়ে চলেছে। শ্রম আইন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সংশোধনের পরিকল্পনা রয়েছে, যেটি আগামী ২৬ আগস্ট ত্রিপক্ষীয় সভায় উপস্থাপন করা হবে। তিনি আরও বলেন, শ্রমিক বা শ্রমিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে চলমান ৪৫ মামলার মধ্যে ৪৪টি ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে, যার মাধ্যমে শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। এছাড়াও, শ্রম নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইএলও’র সংশ্লিষ্ট কনভেনশনসমূহ দ্রুত আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর ও অনুমোদনকরণের প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন আরো স্বচ্ছ ও দ্রুত করার জন্য ডিজিটালাইজেশনের কাজ চলমান।

অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি এইস ই মিলার বলেন, বাংলাদেশে শ্রম আইন ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের আইনের মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে হবে, যা শ্রমিকদের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলি দ্রুত নিষ্পত্তিতে সহায়তা করবে। তিনি সামাজিক সংলাপের অব্যাহত গুরুত্ব, শ্রম ঘন এলাকা পরিদর্শন বাড়ানোর ওপর জোর দেন এবং অপ্রচলিত ও অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকদের শ্রম আইনের আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

মহাণুসজন্য, তাঁর মূল দৃষ্টি ছিল বাংলাদেশের শ্রম আইনের আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখা ও শ্রম বাজারের উন্নয়নের জন্য সংশোধনী প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া। এ ধরনের উন্নতমানের শ্রম আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে আরও প্রতিযোগী হয়ে উঠবে, এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশের প্রবেশাধিকার আরও সুদৃঢ় হবে—এ বিষয়ে তিনি গুরুত্বারোপ করেন। বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ইউরোপীয় সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *