123 Main Street, New York, NY 10001

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, আনুপাতিক পদ্ধতি বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংবিধানে উল্লেখ নেই। সংবিধানের বাইরে আমরা যেতে পারি না। যদি আইন পরিবর্তন হয়, তবে এই পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজশাহী আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন হবে কি হবে না, এ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের বক্তৃতার ভেতর আমি যেতে চাই না। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পাওয়ার পর থেকে আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করেছি।আগামী ফেব্রুয়ারির আগে রমজানের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে উপযুক্ত প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

নির্বাচনের পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে সিইসি জানান, ‘আনুপাতিক পদ্ধতি বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংবিধানে উল্লেখ নেই। সংবিধানের বাইরে যেতে পারে না। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিতর্ক চলছে, তবে আমি এতে প্রবেশ করতে চাই না। আইন পরিবর্তন হলে অবশ্যই এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে।’

সিইসি আরো জানান, ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স নয়, বরং সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরা কাজ করছি। সেনাবাহিনী যেন আইনে সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত হয়, সে বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগে দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসন বা পুলিশ সুপারদের পুনঃ নিযুক্তির পরিকল্পনা নেই।’

বিগত সরকারের সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কর্মকর্তাদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের অধীনে মোট ৫,৭০০ কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা পূর্বে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে যারা স্বপ্রণোদিত হয়ে আগের নির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের রাখা হবে না।’

সরকারের কোনো চাপ আছে কি না জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘এই সরকার এখনো পর্যন্ত আমার কাছে কোনো চাপ দেয়নি। যদি দেয়, আমি পদত্যাগ করব; চেয়ারে থাকব না।’

সিইসি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত নয়। তাদের বিচার চলছে, যার ফলে তারা এখন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। বিচার কার্যক্রম শেষ হলে দেখবো।’

ভোটের আগাম প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ভোট আসার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। ফেব্রুয়ারির আগে রমজান ও তার আগে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য কঠোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। যারা ভোটের জন্য দখলদারির স্বপ্ন দেখে, তাদের স্বপ্ন ভাঙবে।’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘বাক্স দখলের স্বপ্ন দেখলে তারা কঠোর অবস্থানে থাকব। ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে পুরো কেন্দ্রের ভোট বাতিল হবে।’

অবশেষে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার সভায় রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচনী কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *