জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ইতিমধ্যে একটি নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা এখন সহজে এবং দ্রুততার সঙ্গে তাদের ভ্যাটের রিফান্ড অনলাইনে পেতে পারেন। এই সংক্রান্ত বিশেষ মডিউল চালু করেছে এনবিআর, যা সুবিধাজনক ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করছে। জনপ্রশাসন ও করদাতাদের দাবি ও চাহিদার ভিত্তিতে এই আধুনিকায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
সোমবার (১০ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এই নতুন অনলাইন ভ্যাট রিফান্ড সিস্টেমের মাধ্যমে করদাতাদের ভ্যাট ফেরত আবেদন, প্রক্রিয়াকরণ এবং সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর একটি স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হবে। এভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ইনপুট ভ্যাট ও আউটপুট ভ্যাটের নিরিখে রিফান্ডের সম্ভাবনা। এক্ষেত্রে যদি ইনপুট ভ্যাট আউটপুট ভ্যাটের চেয়ে বেশি হয়, তবে সেই অতিরিক্ত অর্থ সুবিধাজনকভাবে ফেরত পাবেন করদাতারা।
এনবিআর এর জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ জানান, এই ডিজিটাল পদ্ধতি দেশের রাজস্ব ব্যবস্থা আরও বেশি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করে তোলে। এর মাধ্যমে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চলমান ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী হবে। ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাট রিফান্ড না পাওয়ার অভিযোগ করে আসছিলেন, যা এই নতুন পদ্ধতিতে নিরসন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান বলেন, ভবিষ্যতে ভ্যাট রিটার্ন সম্পূর্ণরূপে স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাবে, যেখানে কোনও পত্রের প্রয়োজন হবে না। রিটার্ন দাখিলের জন্য শর্ত শিথিল করা হয়েছে যাতে সুবিধা বেশি হয়। এই সমন্বিত ব্যবস্থার মাধ্যমে, ভ্যাটের অডিট ও রিফান্ড প্রক্রিয়া আরও সরল ও দ্রুততর হবে।
নতুন এই মডিউলের মাধ্যমে করদাতারা অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন গ্রহণের পর, অটোমেটিক যাচাই-বাছাই শেষে ভ্যাট আইনের বিধিবিধান অনুসারে রিফান্ড অনুমোদন করা হবে। এরপর, সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর হবে, ফলে করদাতাদের এ ব্যাপারে কোনও ধরনের ঝামেলা বা বিলম্বে পড়তে হবে না। এই পদ্ধতিতে ব্যাংক চেক বা অন্য কোন ঝামেলা কাটিয়ে দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে ভ্যাটের অতিরিক্ত অর্থ ফেরত পাবেন করদাতারা।
প্রশিক্ষণ ও কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে এনবিআর নিশ্চিত করেছে, করদাতাদের জন্য এ সুবিধা সহজলভ্য ও দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহারে অভ্যস্ত করা হবে। করদাতারা তাদের সংশ্লিষ্ট মূসক কমিশনারেটের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য ও সহায়তা পেয়ে যাবেন। এই উদ্যোগ বিবেচনায় সরকারের ডিজিটাল টেকসই উন্নয়ন প্রক্রিয়া আরও এগিয়ে যাবে এবং করদাতাদের সেবা স্বচ্ছ ও সময়োপযোগী হবে।