123 Main Street, New York, NY 10001

জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তিনটি রাজনৈতিক দল— বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এসেওনিসিপি)—নিবন্ধন গ্রহণ করবে। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

আখতার আহমেদ জানান, নির্বাচন কমিশনের মনে হয়েছে, এই তিনটি দল রাজনৈতিক কার্যক্রমে সক্রিয় হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা পূরণ করেছে। এছাড়াও, তাদের জন্য আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত দাবি-আপত্তির সময়সীমা ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যদি কেউ কোনো আপত্তি বা দাবি উপস্থাপন করেন, তা পর্যালোচনা করে শেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এরপর সেটি চূড়ান্তভাবে বৈধতা দেওয়া হবে।

সচিব আরও জানান, নির্বাচনে অংশগ্রহণে আবেদনের জন্য তারা মোট ১৪৩টি আবেদন পেয়েছিলেন। এদের মধ্যে প্রাথমিক বাছাই শেষে ২২টি দলকে মাঠ পর্যায়ের তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাতটি দলের আবেদন বাতিল ঘোষণা করা হয় কারণ তারা আগের কার্যক্রম এবং ধারাবাহিকতায় অস্থিরতা দেখিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, যেই দলের বিষয়ে হাইকোর্টের রায় পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বাকি আবেদনকারীদের মধ্য থেকে বিভিন্ন দলের নামও বেশ স্বচ্ছভাবে অযোগ্য বলে জানানো হয়।

তবে, এবার তাদের মধ্যে তিনটি দল— বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি—নিবন্ধনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। যেহেতু তারা আবেদনকারীদের মধ্যে শর্ত পূরণ করেছে, এই তিনটি দলকে রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। আগামীকাল তাদের জন্য নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়াও, ১২ নভেম্বরের মধ্যে যদি কেউ কোনো অভিযোগ বা আপত্তি জমা দেন, তা বিবেচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রাথমিকভাবে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর এই তিন দলকে আবেদনযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছিল ইসি, তবে জাতীয় লীগ বিষয়ে প্রশ্ন ওঠায় পুনঃতদন্ত চলেছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে জানা যায়, জাতীয় লীগ এর ধারাবাহিক কার্যক্রমের অভাবের কারণে পুনরায় তদন্তের মুখোমুখি হয়।

চূড়ান্তভাবেই, নির্বাচন কমিশন বর্তমানে তিনটি দলের নিবন্ধন চূড়ান্ত করেছে। তাদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে— বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি হ্যান্ডশেক, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) কাঁচি, এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি শাপলা কলি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছে থাকলে কেউ যদি আপত্তি বা অভিযোগ করে থাকেন, তাহলে ১২ নভেম্বরের মধ্যে লিখিতভাবে উল্লেখপূর্বক কারণসহ দাখিলের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *