123 Main Street, New York, NY 10001

ন্যাশভিলের মাঠে রোববারের ম্যাচে জিতলেই প্রথমবারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল লিগ সকার (এমএলএস) কাপ প্লে-অফের সেমিফাইনালে পৌঁছানোর সুযোগ ছিল ইন্টার মায়ামির। তবে শেষমেশ জিওডিস পার্কে মাঠে নেমে হার অনুভব করতে হয় মায়ামিকে। ম্যাচের শেষ দিকে লিওনেল মেসির দৃষ্টিনন্দন গোলটি কেবল ব্যবধান কমিয়েছে, তবে এই ২-১ গোলের হার তার দলের সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনাকে শেষ করে দেয়নি। আগামী ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে দুদলের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ, যেখানে জয়ীরা সেমির টিকিট পেয়ে যাবে।

এমএলএস কাপ প্লে-অফের প্রথম পর্বে তিন ম্যাচের সিরিজে খেলানো হয়। কোনো দল প্রথম দুই ম্যাচে জয়জয়কার করলে তৃতীয় ম্যাচের প্রয়োজন পড়ে না। এর আগে, ঘরের মাঠে ৩-১ গোলের জয় পেয়েছিল মায়ামি, যা তাদের সেমিফাইনালে পৌঁছানোর এক পা নিশ্চিত করে দেয়। আজকের ম্যাচে সেটি নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল, কিন্তু ন্যাশভিল তা বাধা দেয়। এই ক্লাবটি আগে একটিতেও জিততে পারেনি মায়ামির বিরুদ্ধে, এর মধ্যে ২০২৩ সালের মে মাসের পর এই প্রথম তাদের বিপক্ষে জয় লাভ করেছে ন্যাশভিল। তাই তৃতীয় ম্যাচে সব কিছু নির্ভর করবে ওই ম্যাচের ফলের উপর।

ম্যাচে বলের দখলে ন্যাশভিলের আধিপত্য ছিল দৃশ্যমান। পুরো ম্যাচ জুড়ে ৬১ শতাংশ বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল তাদের দখলে। তবে গোলের লক্ষ্য্যে তারা থেকে মাত্র ৪টি শটের মধ্যে ২টি লক্ষ্যে রাখতে পারলেও, মায়ামির দেওয়া ১০ শটের মধ্যে মাত্র ৪টি ছিল অবশ্যই লক্ষ্যে। নবম মিনিটে স্বাগতিকরা প্রথম এগিয়ে যায়। মায়ামির গোলরক্ষক রোকো রিওস নোভো স্যাম সারিজকে বক্সের ভেতর ফাউল করলে, তাদের পেনাল্টি পায় ন্যাশভিল। সফলভাবে স্পটকিকে স্যাম সারিজও জিতেছেন, যা দলকে এগিয়ে নেয়।

বিরতির আগে, ৪৫তম মিনিটে, কর্নার থেকে এক জটলার মাঝমাঠে বল লাগিয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন জশ বাউয়ার। বিরতির পর মাঠে ফিরে নিজেদের হারিয়ে ফেলে মায়ামি। লুইস সুয়ারেজের একটি প্রচেষ্টা ফিরিয়ে দেন ন্যাশভিলের গোলকিপার উইলিস। ৮৬তম মিনিটে মেসির প্রথম শটটি উদ্ধার করেন তিনি। তবে ৯০তম মিনিটে, আর্জেন্টাইন অধিনায়ক দৃষ্টিনন্দন একটি গোল করেন। রদ্রিগো ডি পাল থেকে বল পান তিনি। কেউ তাকে ফাউল না করায় বাঁ পায়ে শটে গোলকিপারকে চমৎকারভাবে পরাস্ত করেন মেসি। এই গোল কেবল ব্যবধান কমায়।

ম্যাচের পরে, স্যাম সারিজের পেনাল্টি নিয়েও মতবিরোধ হয়। মায়ামির আর্জেন্টাইন কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো বলেন, “পেনাল্টি আমাদের জন্য এক ধাক্কা। আমরা ভালো খেলছিলাম তখন। আমার মতে, সিদ্ধান্তটি বিতর্কিত। রেফারিং নিয়ে বলা আমার পছন্দ নয়, তবে ভিএআরে না গিয়ে এই সিদ্ধান্তটি বিবেচনা করা অদ্ভুত মনে হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *