123 Main Street, New York, NY 10001

১ নভেম্বর রোনালদোর জন্য ছিল এক স্মৃর্তি আর আনন্দের দিন। যেখানে তার ফুটবল ক্যারিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সূচনালগ্নে তিনি প্রথমবারের মতো গোল করেছিলেন মানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে, সেই দিনটি আজও স্মরণীয়। ২২ বছর পরে, এই একই দিনে ফিরতে দেখা গেলো আরও এক মূল্যবান মুহূর্ত, যখন রোনালদো জুনিয়র তার প্রথম গোল করেন পর্তুগালের অনূর্ধ্ব-১৬ দলে। সেই সঙ্গে গোল করে তার বাবার জন্যও গর্বের অনুভূতি তৈরি হয়।

তিন দিন আগে, রোনালদো জুনিয়র তার পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৬ দলের অভিষেক করেন তুরস্কের বিপক্ষে ফেডারেশন কাপের ম্যাচে, যেখানে তাকে শেষ মুহূর্তে বদলি হিসেবে নামানো হয়। এরপরই, ওয়েলসের বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রথমবারের মতো পুরো প্রথমার্ধে সুযোগ পান তিনি। ৪২ নম্বর মিনিটে সতীর্থ কার্লোস মইতার পাস কাজে লাগিয়ে ডান পায়ের নিচু শটে বল জালে পাঠিয়ে দলের এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যম হয়ে ওঠেন। এই গোলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরে, অনেকেই তার বাবার ফিনিশিং স্টাইলের সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়ার কথা প্রকাশ করেছেন। রোনালদো আর্জেন্টিনায় তাঁর ছেলের এই গোল দেখে ইনস্টাগ্রামে খুশির ইমোজি দিয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানান।

অপরদিকে, আল নাসরের ময়দানে ফিরে আসেন রোনালদো, যেখানে তিনি সৌদি প্রো লিগে আল ফেইহারের বিপক্ষে ৩৭ মিনিটে গোল করেন। অতঃপর, ১-১ সমতা বজায় থাকা পরিস্থিতিতে যোগ করা সময়ের ১৫তম মিনিটে (১০৫ মিনিট) পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে জয় এনে দেন। এর মাধ্যমে, এই মরুর দেশে তার ক্যারিয়ার এখন ৯৫২ গোলের কাছে।

বিশেষ করে এই দিনটি রোনালদোর জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ২২ বছর আগে তিনি ইউনাইটেডের জার্সিতে পোস্টমাউথের বিপক্ষে প্রথম গোল করেছিলেন। সেই একই দিনে, তার ছেলে ও পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৬ দল প্রথম গোল করে তার বাবার জন্য প্রমাণ করে দিয়েছে, শুভকামনা ও গর্বের মুহূর্ত কেবল ব্যক্তিগত অর্জনে সীমাবদ্ধ নয়—এটি পরিবার, প্রেরণা ও আবেগের মিলও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *