123 Main Street, New York, NY 10001

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়নে এক নতুন দিগন্ত আসে যখন বিজিএমইএ এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এর মধ্যে ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতার পূর্ণাঙ্গ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এই সমঝোতা বক্তৃতায় উভয় পক্ষ একসাথে কাজ করবে শিল্পের উৎপাদনশীলতা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য। অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার এনপিও কার্যালয়ে, যেখানে বিজিএমইএ এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম এবং এনপিও এর সভাপতি মো. নুরুল আলম।চুক্তির ভিত্তিতে, পোশাক শিল্পকে ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ এর উপযোগী করে তুলতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সেমিনার এবং পরামর্শ সেবা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজিএমইএ ও এনপিও যৌথভাবে উদ্যোগী হবে আধুনিক প্রযুক্তি, যেমন ৫ এস, কাইজেন এবং লিয়েন ম্যানুফ্যাকচারিং, এর মাধ্যমে উৎপাদন ও অপারেশনাল সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য।সমঝোতার অংশ হিসেবে, প্রতি বছর তিনটি পোশাক কারখানা নির্বাচন করে তাদের ‘মডেল এন্টারপ্রাইজ’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে, যেখানে এনপিওর কারিগরি সহায়তায় বিভিন্ন উদ্যোগ চালানো হবে। এছাড়াও, তারা এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের সহায়তায় গবেষণা এবং সক্ষমতা উন্নয়নমূলক প্রকল্পে কাজ করবে।বিজিএমইএ এর একজন প্রতিনিধি উল্লেখ করেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিবর্তন, প্রযুক্তিগত রূপান্তর এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের নতুন চাহিদার কারণে এখনই ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ গ্রহণের সময়। শুধু খরচ কমানোর দিকে নয়, গুণগত মান, দক্ষতা, গতি ও উদ্ভাবনের সমন্বয়ে আধুনিক ও টেকসই পোশাক শিল্প গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ।জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম বলেন, বাংলাদেশকে স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং এর দিকে এগিয়ে নিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি, আইওটি ও নতুন উদ্ভাবন মানোন্নয়নে জোর দেওয়া জরুরি। এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে আধুনিক, টেকসই ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক শিল্পে রূপান্তরের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *