123 Main Street, New York, NY 10001

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এই হামলার নির্দেশ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, যেখানে বিভিন্ন স্থানে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মূলত, রাফাহ শহরে বন্দুক হামলার পর ইসরায়েলি সৈন্য আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে, যার পরিপ্রেক্ষিতে নেতানিয়াহু এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

অপরদিকে, হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই হামলা ও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। তারা আরও জানিয়েছে, নিখোঁজ এক বন্দির মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়াও স্থগিত রাখা হয়েছে। হামাস ঘোষণা করেছে যে, ইসরায়েল যদি বড় ধরনের কোনও উস্কানি দেয়, তাহলে গাজায় মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ বন্ধ হবে এবং বাকি ১৩ জন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারে দেরি হতে পারে।

তদ্ব্যতীত, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যুদ্ধবিরতি এখনও বলবৎ আছে। তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে সাংবাদিকদের জানান, ‘ছোটখাটো সংঘর্ষ হতে পারে। আমরা জানি, গাজায় একজন ইসরায়েলি সৈন্যকে আঘাত করা হয়েছে। আমি আশা করি ইসরায়েল জবাব দেবে, তবে আমি মনে করি শান্তি পরিস্থিতি অটুট থাকবে।’

হামাস জানিয়েছে, রাফাহতে সংঘটিত এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও সংযোগ নেই। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল এখন পর্যন্ত অন্তত ৯৪জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং জরুরি ত্রাণ পৌঁছানো কঠোরভাবে সীমিত করা হয়েছে।

হামাস এক বিবৃতিতে এই ইসরায়েলি হামলাকে যুদ্ধবিরতির স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করে আন্তঃসীমান্ত অবরোধ ও হামলা বন্ধের দাবি জানিয়েছে। তারা বলেছে, তারা চুক্তি অনুযায়ী চলছেন, তবে মরদেহ উদ্ধারে কিছু অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে এবং এই বিষয়টিতে ইসরায়েলের দুঃখ ও দায় রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *