123 Main Street, New York, NY 10001

ঢাকা জেলার মানুষের গড় মাথাপিছু আয় বর্তমানে ৫ হাজার ১৬৩ মার্কিন ডলার। এটি দেশের গড় মাথাপিছু আয়ের প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছর (২০২৪–২৫) শেষে দেশের মোট গড় মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৮২০ মার্কিন ডলার।

গতকাল শনিবার রাজধানীর মতিঝিলস্থ ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ইকোনমিক পজিশন ইনডেক্স (ইপিআই) বা অর্থনৈতিক অবস্থান সূচক প্রণয়নসংক্রান্ত এক আলোচনাসভায় এই তথ্য তুলে ধরা হয়।

বিশ্লেষকরা জানান, এই তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার অর্থনৈতিক উন্নতির মান বোঝা যায়। অনুষ্ঠানে ডিসিসিআইয়ের সভাপতিত্ত্বে উপস্থিত ছিলেন তাসকিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অর্থনীতিবিদ, গবেষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

ডিসিসিআই জানিয়েছে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ২০১১ সালে জেলাভিত্তিক জিডিপির ভিত্তিতে ঢাকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এই হিসাব তৈরি করেছে। তবে, এই आंकड़ों নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠেছে, কারণ এগুলো সীমাবদ্ধ বলেও উল্লেখ করা হয়।

অতীতের তুলনায়, গত মে মাসে প্রকাশিত বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, দেশের গড় মাথাপিছু আয় ২০২৪–২৫ অর্থবছরে রেকর্ড করে ২ হাজার ৮২০ ডলার। এর আগে অর্থবছরে এই আয় ছিল ২ হাজার ৭৩৮ ডলার। উল্লেখ্য, এই হিসাবের ক্ষেত্রে প্রবাসী আয়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

গত এক দশকে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ধাপে ধাপে বাড়ছে। ২০২১–২২ অর্থবছরে এটি ছিল ২ হাজার ৭৯৩ ডলার, আর ২০২২–২৩ সালে কমে ২ হাজার ৭৪৯ ডলার হয়। তবে, ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধির ফলে এই হিসাবের মধ্যে কিছু পরিবর্তন দেখা যায়।

আলোচনাসভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এ কে এম আসাদুজ্জামান পাটোয়ারী। তিনি জানান, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বৃহৎ অংশ ঢাকা জেলায় সম্পন্ন হয়। দেশের মোট কর্মসংস্থানের ৪০ শতাংশ এই জেলায়, যেখানে দেশের শেয়ারের বড় অংশের কোম্পানিগুলোর অফিসালয় অবস্থিত।শিল্প ও ব্যবসার কেন্দ্র এই জেলাটি দেশের মোট পণ্য রপ্তানির বড় অংশও অবদান রাখে। বিবেচনায় নেওয়া হয়, এই জেলাটি মোট দেশের জিডিপির প্রায় ৪৬ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম।

এছাড়াও, ঢাকা চেম্বার পরিকল্পনা করছে ইকোনমিক পজিশন ইনডেক্স বা ইপিআই সূচক চালুর। এই সূচক প্রতি তিন মাসে একটি করে প্রকাশিত হবে, যা শিল্প ও সেবা খাতের অর্থনৈতিক কার্যক্ষমতা এবং পরিবর্তনগুলো নিরীক্ষণে সহায়তা করবে। এভাবে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে এবং সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের জন্যও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা যাবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন সূচক যেমন বিসিআই, ইজ অব ডুইং বিজনেস ইনডেক্স ইত্যাদি বর্তমানে সত্য পরিস্থিতি প্রতিফলিত করতে পারছে না। তাই ইপিআই সূচক চালু ও এর পরিধি বাড়ানোর রোডম্যাপ প্রণয়নের ওপর গুরুত্ব দেন বক্তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *