123 Main Street, New York, NY 10001

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শান্তি ও বহুপাক্ষিক সম্পর্কের লক্ষ্য পূরণের জন্য জাতিসংঘকে ক্রমাগত নিজেদের উন্নয়ন করতে হবে এবং সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। তিনি আরো বলেন, যদি জাতিসংঘ আমাদের সকলের চাওয়া শান্তি ও সহযোগিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চায়, তবে তাকে অবশ্যই পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে অভিযোজিত করতে হবে। এজন্য তিনি জাতিসংঘের সংস্কার প্রয়োজনের উপর আবারও গুরুত্ব আরোপ করেন, যাতে এটি আরও বেশি গতিশীল, সমন্বিত এবং বর্তমান বৈশ্বিক চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।

ড. ইউনূস ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ দিবসের উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে একথা বলেন। এ বছর জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠার ৮০তম বার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ দিনে আমরা নতুন করে যুদ্ধ ও অভাবমুক্ত বিশ্ব গড়ার জন্য নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করি। বাংলাদেশ পক্ষ থেকে তিনি জাতিসংঘের সব সদস্য, অংশীদার ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ‘জাতিসংঘ দিবস’ এর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, এই দিনটি আমাদের জন্য আবারও স্মরণ করিয়ে দেয় যে, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য কাজ করে যাওয়ার পাশাপাশি, আমাদের অবশ্যই জাতিসংঘের বহুপাক্ষিক সহযোগিতা ও ঐক্যের চেতনাকে জীবন্ত রাখার ব্যাপারে লক্ষ্যবস্তু হওয়া জরুরি। গত আট দশকে জাতিসংঘ নিজের কার্যক্রমের বিস্তৃতি ও প্রভাব আরও বাড়িয়েছে, এবং বিশ্বজুড়ে এর সক্রিয়তা গভীরতর হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘ শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা, মানবাধিকার সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নসহ মানবকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। বাংলাদেশের জন্য এই সংগঠনের সদস্যপদ ১৯৭৪ সালে অর্জনের পর থেকে দেশটি এক responsive ও দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা মিশনে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং নীল হেলমেটধারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম শীর্ষ অবদানকারী হিসেবে দেশের সুনাম রয়েছে। অনেক সাহসী শান্তিরক্ষী তাদের স্বীয় জীবন উৎসর্গ করে আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে চলেছেন।

অধ্যাপক ইউনূস সেইসাথে বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ সহ অন্যান্য বৈশ্বিক দক্ষিণের দেশগুলো নিয়মভিত্তিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাকে গড়ে তুলতে গুরুত্ব দিচ্ছে।

তবে, এর পাশাপাশি তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান যে, একতরফা সিদ্ধান্ত ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বৈষম্যমূলক আচরণ বিশ্বে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে এবং এই জটিল পরিস্থিতি বহুপক্ষীয় কূটনীতিতে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, বর্তমানে সাম্প্রতিক সংঘাত ও যুদ্ধ পরিস্থিতি বিশ্বকে গভীর অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বিশেষ করে গাজার ভয়াবহ গণহত্যা সম্প্রচারের মাধ্যমে আমরা তা প্রত্যক্ষ করছি।

স্মরণ করিয়ে দেন যে, আমাদের নিজস্ব অঞ্চলেও রোহিঙ্গাদের অধিকার ও মর্যাদার negar তারে নির্যাতনের সাক্ষী হতে হয়েছে। এই পরিস্থিতি সাংস্কৃতিক পরিচয় ও রাজনীতির কারণে সৃষ্টি হয়েছে এবং বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের নতুন উদ্যোগের জন্য তিনি অপেক্ষায় রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *