123 Main Street, New York, NY 10001

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচে সিরিজে জয় লাভ করে গুরুত্বপূর্ণ এক বিজয় অর্জন করেছে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জয় দিয়ে শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে সুপার ওভারে হেরে যায়, যা চরম উত্তেজনার সৃষ্টি করে। শেষ ম্যাচটি ছিল অলিখিতফাইনাল, যেখানে বাংলাদেশ দুরন্ত ফুটেজে ১৭৯ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয়।

এটি বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে রানের দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহৎ জয়, যেখানে তারা ১৭৬ রান করে ২০২৩ সালে সিলেটে আয়ারল্যান্ডকে হারানোর রেকর্ডের পাশে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ ১৯ মাস পরে ২০২৪ সালের মার্চে দেশের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে জিতেছিল বাংলাদেশ, এরপর থেকে দুবার আফগানিস্তানের কাছে, একবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলংকার বিরুদ্ধেও সিরিজ হেরেছে টাইগাররা।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭৪ রানে হারিয়েছিল, এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে স্পেন্সার সুপার ওভারে জিতে সিরিজে সমতা ফেরায়। শেষ ম্যাচে জয় পেয়ে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে সিরিজের জয়লাভ করে। এই সিরিজ জয় বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা চারটি পরপর সিরিজে পরাজয়ের পর এই প্রথম দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক জয় লাভ করল।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। ব্যাটে নেমে ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকারের দুর্দান্ত সূচনায় শুরু হয় বাংলাদেশের ইনিংস। তারা পাওয়ার প্লেতে ৭৪ রান যোগ করেন। ১৬তম ওভারে দলের সংগ্রহ একশো ছুঁয়েছে, আর এর মধ্যেই সৌম্যর ১৪তম হাফ-সেঞ্চুরি ও সাইফের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি আসে।

সাইফ ও সৌম্যর জোড়া হাফ-সেঞ্চুরির কল্যাণে বাংলাদেশ ২২তম ওভারে দেড়শো রান পার করে। ২৬তম ওভারে সৌম্য ৮৬ বলে ৯১ রান করে আউট হলে, অন্যদিকে সাইফ ৮০ রান করেন। এরপর শান্ত ও হৃদয় দলের রান সচল রাখে। শান্ত ৫৫ বলে ৮৬ রান করেন, আর হৃদয় ২৮ রান করে থামে। এরপর দলের সবাই ব্যক্তিগত সংগ্রহে এগিয়ে যান। শেষ ওভারে ৩৫০ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

বল হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আক্রমণে আকিল হোসেন ও অ্যালিক আথানাজ সফল হন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে মূলত আকিল ৪১ রানে ৪টি, আথানাজ ৩৭ রানে ২ উইকেট নেন। তবে, তাদের ইনিংস শেষ হতে না হতেই বাংলাদেশের জন্য এটি ছিল এক বিশাল জয়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা বলীর চাপে পড়েন, বিশেষ করে অ্যালিক আথানাজে ১৫ বলে ২৭ রান করার ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলের রানক্ষেপে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এর আগে তারা ৮ উইকেট হারিয়ে তুলনামুলকভাবে কম স্কোর করে। শেষ মুহূর্তে আকিলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে কিছুটা স্বস্তি পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তবে বাংলাদেশ তাদের এই চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবেলা করে।

অধিনায়ক মিরাজ ও তার দলের সবাই অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে এই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে। বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচের জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ত্রিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য। সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ ২৯ এবং ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *