আজকের দিনটি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনায় marks করছে, যখন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সুইসকন্টাক্টের মধ্যে এক ঐতিহাসিক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হলো। এই চুক্তির মূল লক্ষ্য হলো দেশের বিনিয়োগ পরিবেশকে আরও শক্তিশালী করা, বিশ্বমানের বিনিয়োগ আকর্ষণ করা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
গতকাল বুধবার, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিডার সম্মেলন কক্ষে এই গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে তিনটি মূল লক্ষ্যে কাজ করা হবে:প্রমাণনির্ভর বিনিয়োগ পরিবেশ বিশ্লেষণ ও সমন্বয় জোরদার করা, বিডাকে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিনিয়োগ প্রচার সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলা, এবং খাতভিত্তিক বিনিয়োগ সম্প্রসারণ ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের উন্নয়ন।
এছাড়াও জানানো হয়, বিডা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিনিয়োগ সংস্কৃতি উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে। এর অংশ হিসেবে, বিনিয়োগ নীতিমালা সংস্কার, সেবা ডিজিটালাইজেশন ও সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির কাজ অব্যাহত রেখেছে। নির্দিষ্টভাবে, সুইসকন্টাক্ট ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় বিডার সহযোগিতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন পৌরসভায় ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ও প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বিডার জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, এই অভিজ্ঞতা ভিত্তিক উদ্যোগটি বিডা ও সুইসকন্টাক্টের নতুন এক সম্মিলিত প্রচেষ্টার অংশ, যা বিডার ‘হিট ম্যাপ’ অনুযায়ী বিভিন্ন খাতভিত্তিক বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করবে।
চাঁদুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, বিডা’র চেয়ারম্যান ও প্রতিমন্ত্রী, বলেন, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে সরকার নানা ধরনের সংস্কার কার্যক্রম চালাচ্ছে। এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে ‘ইনভেস্টর-ফার্স্ট’ মডেল বাস্তবায়নের পথে আরও এক ধাপ এগোলাম। তার কথায়, আমাদের লক্ষ্য হলো যাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সহজে বুঝতে পারেন যে বাংলাদেশ একটি দক্ষ, সেবাবান্ধব ও সম্ভাবনাময় গন্তব্য।
বিডা জানিয়েছে, সুইসকন্টাক্ট দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের টেকসই উন্নয়ন, বাণিজ্য প্রতিযোগিতা বাড়ানো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা শক্তিশালীকরণে কাজ করে আসছে। সংস্থাটি বিশ্বাস করে, এই অংশীদারিত্ব বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, বিশেষ করে তরুণ ও নারীদের জন্য।
সর্বশেষ, বিডা ও সুইসকন্টাক্ট উভয়ই আশা প্রকাশ করেছে যে, এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগের মান আরও উন্নত হবে, মানসম্পন্ন বিনিয়োগ বাড়বে এবং টেকসই শিল্পায়নের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতি আরও সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছাবে।