123 Main Street, New York, NY 10001

আহমেদাবাদের পর দিল্লি টেস্টেও ভারতের জয় পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল। মঙ্গলবার পঞ্চম ও শেষ দিন দেশের স্বাগতিকরা কেবল ৫৮ রানের মধ্যে জয়ে পৌঁছে যায়। ৭ উইকেটের জয়ে ভারত সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়ে নিজেদের অতীতের সাফল্যকে নতুন করে 기억 করল। এটি শুবমান গিলের জন্য লাল বলের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজ জয়, যা তার জন্য একটি বিশেষ অর্জন।

আগের দিন অর্থাৎ সোমবার চতুর্থ দিনে ভারতের লক্ষ্য ছিল ১২১ রান, ব্যাট করতে নামে তারা। সেদিন তারা ১ উইকেটে ৬৩ রান নিয়ে শেষ করে। মঙ্গলবার শেষ দিন আরও কিছুটা এগিয়ে যেতে চাইলে স্বাগতিকরা ৫৮ রান তুলতে গিয়ে ২ উইকেট হারায়। ১১তম ওভারে রোস্টন চেজের বলের ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ব্যাটার সুদর্শন (৩৯)। অধিনায়ক গিল দ্রুতই আউট হন, মাত্র ১৩ রান করে। অন্য দিকে রাহুল তার ব্যক্তিগত ফিফটি পূর্ণ করে অপরাজিত থাকেন ৫৮* রান নিয়ে, দলের জয়ের ভিত্তি স্থাপন করে। এর সঙ্গে যোগ দেন ধ্রুভ জুরেল (৬*)।

জয়ের পর গিল জানান, তিনি অধিনায়কত্বের দায়িত্বে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘ভারতকে নেতৃত্ব দিতে পারা আমার জন্য মহা সম্মানের। এখন আমি অভ্যস্ত হচ্ছি। দল চালানো এবং অধিনায়কত্বের জন্য এটি বড় প্রাপ্তি।’ গিল আরও বললেন, ‘অধিনায়কত্বের মূল বিষয় হলো, ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া। পরিস্থিতি বুঝে আমি সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা করি। কখনো কখনো সাহসী পদক্ষেপ নিতে হয়, এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী ‘এক্স-ফ্যাক্টর’ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ রান বা উইকেট নিতে হয়।’

আহমেদাবাদে সিরিজের প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ইনিংস ও ১৪০ রানের বড় ব্যবধানে হারের পর বাংলাদেশও গুরুত্ব পায়। দ্বিতীয় টেস্টে ক্যারিবিয়ানরা আরও ভালো পারফর্ম করে। এই ম্যাচে তারা দুই ইনিংস মিলিয়ে ২০০ ওভার বেশি ব্যাটিং করে। তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ফলো অনে পড়া খেলে ব্যাট করেন জন ক্যাম্পবেল (১১৫), শেই হোপ (১০৩) ও অপরাজিত থাকেন জাস্টিন গ্রিভস। সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৯০ রান। তবে ভারতের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ৫১৮ রান করে ইতিহাস তৈরি করে। তুমি বলতে পারেন, এই ম্যাচে বোলারদের জন্য চমৎকার পারফরম্যান্স।

দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট নেয়া কুলদীপ যাদব ম্যাচসেরার মর্যাদা পান। অন্যদিকে, দুই টেস্টের এক ইনিংস ব্যাটিং করে অপরাজিত সেঞ্চুরি হাঁকানো রবীন্দ্র জাদেজা সিরিজের সেরা অলরাউন্ডার হন। সেটি দুই টেস্টে মোট ৮ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি।

ভারত এই জয়সহ টানা বেশ কয়েকটি সিরিজ জিতে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে উচ্চ স্থানে উঠে এসেছে। ১৯৯৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত এই সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টানা ১০ সিরিজ জিতেছে ভারত। ২০০২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত তারা ক্যারিবিয়ানদের সঙ্গে টানা ১০টি টেস্ট সিরিজও জিতেছে। প্রথম টেস্টের পর গিলের অধিনায়কত্বের জন্য ব্যস্ততা বেশ বেড়েছে। আজ বুধবার ভারত অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবে, যেখানে তারা ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে নতুন দিক শুরু করবেন গিল। ২৬ বছর বয়সী এই তারকা এখন নতুন এক চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *