123 Main Street, New York, NY 10001

ইরানের ওপর সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক চাপ অব্যাহত রাখার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে ভারতের নয়টি প্রতিষ্ঠান এবং আটজন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা ইরানি তেল, পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য এবং পেট্রোকেমিক্যালের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

গত বৃহস্পতিবার এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর, যা ব্যাপকভাবে ইরানের অর্থনৈতিক অবরোধের অংশ। এতে প্রায় ৪০টি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞার তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে ইরানি পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যালের বাণিজ্য জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়াও, একসাথে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রকের অধীন ‘অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল’ (ওএফএসি) আরও ৬০টি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও জাহাজকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। এর মধ্যে চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

তালিকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আটটি ভারতীয় রাসায়নিক ও পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি, যেমন মুম্বাইভিত্তিক সিজে শাহ অ্যান্ড কো, কেমোভিক, মোডি কেম, পারিকেম রিসোর্সেস, ইনডিসল মার্কেটিং, হরেশ পেট্রোকেম, শিভ টেক্সকেম ও দিল্লি ভিত্তিক বিসি সেলস কর্পোরেশন।

পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, এই সব কোম্পানি কেটে কিছু বছর আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাধারী ইরানি উৎস থেকে শত শত মিলিয়ন ডলার মূল্যের পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য আমদানি করেছে।

অতিরিক্তভাবে, এই তালিকায় রয়েছে পাঁচজন ভারতীয় নাগরিকের নাম—যাঁরা বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালকের দায়ে আছেন, যেমন কেমোভিকের পিয়ূষ মাগনলাল জাভিয়া, ইনডিসল মার্কেটিং এর নীতি উনমেশ ভাট, হরেশ পেট্রোকেমের কমলা কাসাত, কুনাল কাসাত ও পুনম কাসাত।

অন্যদিকে, ওএফএসি আরও তিন ভারতীয়ের নাম প্রকাশ করেছে—বরুণ পুলা, আয়াপ্পান রাজা ও সোনিয়া শ্রেষ্ঠা—যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ইরানি এলপিজি পরিবহনে যুক্ত জাহাজগুলোর সঙ্গে সংস্পর্শে ছিলেন।

বিশেষ করে, মুম্বাই ভিত্তিক শিপিং সংস্থা ‘ভেগা স্টার শিপ ম্যানেজমেন্ট’ এর মালিকানা সোনিয়া শ্রেষ্ঠার। এই সংস্থার অধীন ‘নেপটা’ নামের একটি জাহাজ ইরানি এলপিজি পাকিস্তানে পরিবহন করেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এই পদক্ষেপের মূল্যায়ন করে বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা ইরানের জ্বালানি রপ্তানি কাঠামো ভেঙে দিয়ে দেশটির অর্থনীতিকে দুর্বল করছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে এই প্রশাসন ইরানের ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করছে, যার মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হুমকি দেওয়া ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো’কে অর্থায়ন করে আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *