বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের ভুলের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, অন্য কোনো জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনের নির্বাহী পরিষদের সদস্য বা কর্মকর্তা কেউ বিসিবির পরিচালক পদে প্রার্থী হতে পারেন না। তবুও, এবারের নির্বাচনে এই শর্তের লঙ্ঘন ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রথমত, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিনিধি ফয়জুর রহমান ভূঁইয়া বক্সিং ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হয়েও তিনি বিসিবির পরিচালক হয়েছেন। একইভাবে, আরেক প্রার্থী ইশতিয়াক সাদেক বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে থাকাকেও ভোটে জয়লাভ করেছেন। এটি স্পষ্টতই বিসিবির গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি।
বিসিবির গঠনতন্ত্রের ১২ (গ) অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা আছে, ‘সাধারণ পরিষদের কোনো সদস্য যদি একাধিক জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনের নির্বাহী বা পরিচালনা পরিষদের সদস্য বা কর্মকর্তা হন, তাহলে তিনি বিসিবির পরিচালকের পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।’ এই নিয়ম অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জিতে যাওয়ার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে।
অবশ্য, এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, রিটার্নিং কমিশন কিভাবে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের যাচাই-বাছাইয়ের সময় এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপেক্ষা করল? নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও গঠনতন্ত্রের যথাযথ প্রয়োগ নিয়ে ক্রিকেটাঙ্গনে সমালোচনা শুরু হয়েছে। নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিয়মনীতি রক্ষায় এখন নানা বিতর্কের মুখে পর্যবেক্ষকরা।