123 Main Street, New York, NY 10001

উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনার পর আহতদের সহায়তার জন্য রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। অনলাইনের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল রক্তদানসহ বিভিন্ন সহায়তার আহ্বান।

রাতের পর আহতদের রক্ত দিতে মঙ্গলবার সকালেও জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভিড় জমাচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়স ও পেশার মানুষ।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে রোভার স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা রক্তদাতাদের নাম ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করছেন। জানা গেছে, ঢাকার বাইরে থেকে যারা রক্ত দিতে এসেছেন তাদের বেশিরভারেই রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ। নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের সংকট থাকায় নিজ তাগিদে তারা ঢাকায় ছুটে এসেছেন বলে জানিয়েছেন।

রোভার স্কাউটের সদস্য মো. হাসান বলেন, আমরা এখন নাম এন্ট্রি করছি। ৮ম তলা থেকে সংকেত এলে একে একে ব্লাড নেওয়া হবে। কিছুক্ষণের মধ্যে বুথ প্রস্তুত হবে।

মৌলভীবাজার থেকে ঢাকায় ছুটে এসেছেন খালেদ আহমেদ নামে এক ডেইরি ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, আমার রক্তের গ্রুপ ‘ও’ নেগেটিভ। শুনলাম এই গ্রুপের রক্ত বেশি দরকার। তাই দেরি না করে চলে এসেছি। শিশুগুলো যেন সুস্থ হয়ে ওঠে, এই প্রার্থনায় রক্ত দিতে এসেছি।

কেরানিগঞ্জের একটি মাদরাসা থেকে বন্ধুদের নিয়ে এসেছেন সালমান। তিনি বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে এসেছি। নাম এন্ট্রি হয়ে গেছে। ডাক পেলেই রক্ত দেবো। কোনো শিশু যেন রক্তের অভাবে মারা না যায়।

যাত্রাবাড়ী থেকে আসা বিন ইয়ামিন বলেন, রক্ত না পেয়ে কেউ কষ্টে থাকবে আর আমরা বসে থাকবো—এটা হতে পারে না। তাই ছুটে এসেছি।

নারীরাও এসেছেন রক্ত দিতে। কেরানীগঞ্জের নজরগঞ্জ থেকে আসা আজিজা বলেন, আমি ও আমার এক আত্মীয় এসেছি রক্ত দিতে। আরও কয়েকজন রওনা দিয়েছেন। আমরা চাই, শিশুরা বাঁচুক, সুস্থ হয়ে উঠুক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *