123 Main Street, New York, NY 10001

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ব্যাপকভাবে বিতাড়নের পর থেকে দেশটির সেনাবাহিনী নানা ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি চালিয়ে যায়। জাতিসংঘের উদ্যোগে পরিচালিত এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানা যায়, সেনাবাহিনী একের পর এক রোহিঙ্গাদের গ্রাম, মসজিদ, কবরস্থান ও কৃষি জমি ধ্বংস করে তাদের জায়গা দখল করছে। তারা সেগুলোর ওপর নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করছে, যা জাতিসংঘের বিবরণে “জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে এক নজির” হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়।

সেদিনের অপারেশনের ফলে অনেকে বলছেন, এটি Planungপ্রক্রিয়াকৃত একটি নিরীহ জনগোষ্ঠীর উপর চালানো নিধন অভিযান। ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইন রাজ্য সংঘর্ষে শুরুর পর থেকে লাখো রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা বাস করছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ ধরনের মানুষিকতা ও কর্মকলাপের জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের গ্রাম ও ধর্মীয় স্থান ধ্বংস করছে। তারা জানিয়েছেন, এ কাজগুলো সরকারি নথিপত্রের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জমির অধিকার ও মালিকানা সম্পর্কেও অবগত ছিল। ২০১১ সাল থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধের অনুসন্ধান চালানোর জন্য গঠিত ‘ইনডিপেনডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজম ফর মিয়ানমার’ (আইআইএমএম) এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

প্রতিবেদন তৈরির জন্য স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষণ, উপগ্রহচিত্র, ভিডিও ফুটেজ ও সরকারি নথি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। রয়টার্সের এক প্রশ্নের জবাবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেননি, তবে তারা ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর কোন গণহত্যা চালায়নি বলে দাবি করে।

তারও আগে থেকেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই ধরনকে নিধনের অপপ্রয়াস হিসেবে দেখেছে। এদিকে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন সরকারকে গৃহের বাইরে ঠেলে দিয়ে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। নতুন করে সংঘাত বাড়তে থাকায় রোহিঙ্গারা আবারও সহিংসতা ও বাস্তুচ্যুতির মুখে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র অংশ কিছু রোহিঙ্গা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে, রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা বাড়ছে এবং আবারও শরণার্থী পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের শরণার্থীশিবিরগুলোতে বিভিন্ন পর্যায়ে শঙ্কা এবং উদ্বেগ বেড়েই চলছে। এ রিপোর্টটি প্রকাশের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলের নজরদারিও আরও জোরদার হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *