123 Main Street, New York, NY 10001

মার্কিনী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি শান্তি স্থাপন ও স্থিতিশীলতা আনার জন্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আয়োজন করবেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, এই বৈঠকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিসর, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।

অ্যাক্সিওস তথ্য দিচ্ছে, এই বৈঠকে ট্রাম্প গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন প্রস্তাবনা আনবেন। এর মধ্যে থাকবে জিম্মি মুক্তি, যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার ও হামাসকে বাদ দিয়ে গাজার শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা। মার্কিন সরকার চাইছে, এই শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আরব ও মুসলিম দেশগুলো গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে রাজি হোক। এর উদ্দেশ্য হল ইসরায়েল তখন তার সামরিক অভিযানে কিছুটা শিথিলতা দেখাতে পারে এবং মূলত পুনর্গঠন ও পুনরায় বিনিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হবে।

এছাড়া, ট্রাম্প জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন। একদিন আগে, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স ও পর্তুগাল ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। তবে, এই স্বীকৃতি সম্পর্কে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এটি মূলত চরমপন্থাকে পুরস্কৃত করার মতো।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। লাখ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত ও দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। জাতিসংঘের বিভিন্ন তদন্ত ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো এটিকে গণহত্যা হিসেবে মূল্যায়ন করেছে।

অন্যদিকে, ইসরায়েল দাবি করছে, তার এই সামরিক অভিযান স্ব-রক্ষার্থেই নেওয়া হয়েছে। তারা বলছে, অক্টোবর মাসে হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত ও আরও অনেককে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল ইরান, লেবানন, ইয়েমেন, সিরিয়া ও কাতারে আক্রমণ চালাচ্ছে।

‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি হামাসকে পুরস্কার’ বলে মনে করেন ট্রাম্প। পশ্চিমা দেশগুলোর এই স্বীকৃতি নীতিকে তিনি সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্পের মতে, এটি সংঘাতের সমাধানে কোনো কাজে আসবে না। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট জানান, ট্রাম্প মনে করেন, এই সিদ্ধান্ত গাজায় জিম্মি মুক্ত করার জন্য কোন অর্থবহ উদ্যোগ নয়। বরং, এটি হামাসের প্রতি উৎসাহ বৃদ্ধি করবে বলে তিনি মনে করেন।

অ্যাপোসের রিপোর্ট অনুযায়ী, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনের আগে ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, কানাডা ও পর্তুগালের মতো দেশের সাথে পশ্চিমা দেশগুলোর তালিকায় যোগ হলো নতুন এই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। এই ঘোষণাকে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলার নেপথ্যে এই স্বীকৃতি একটি নতুন চাপে পর্যবসিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই সংঘর্ষে প্রায় ৬৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং পুরো অঞ্চলই ধ্বংসস্তূপে পরিণত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *