123 Main Street, New York, NY 10001

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৫’। এই দিবসের মাধ্যমে দেশে ও বিশ্বজুড়ে মানুষের মধ্যে সাক্ষরতার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরা হয়। ইউনেস্কো এই বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে— “প্রযুক্তির যুগে সাক্ষরতার প্রসার”। এই বিশেষ দিনটি উদযাপন উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। একই সঙ্গে এই দিবসের গুরুত্ব বুঝাতে বাংলাদেশের স্বনামধন্য অর্থনীতিবীদ ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বাণী দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী এবং ১৯৭২ সাল থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক নানা প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্তির জন্য সাক্ষরতা অর্জনের গুরুত্ব অনেক। যদিও বিভিন্ন দেশে সাক্ষরতার সংজ্ঞায় ভিন্নতা থাকলেও, ১৯৬৭ সালে ইউনেস্কো সর্বজনীন একটি সংজ্ঞা নির্ধারণ করে, যেখানে বলা হয়, একজন ব্যক্তি যদি নিজের নাম লিখতে ও পড়তে পারে। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সংজ্ঞায় নানা পরিবর্তন এসেছে। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত সংজ্ঞা অনুযায়ী, ব্যক্তির সাক্ষর হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়: প্রথমত, নিজের ভাষায় সহজ ও ছোট বাক্য পড়তে পারা; দ্বিতীয়ত, নিজের ভাষায় সহজ ও ছোট বাক্য লিখতে পারা; এবং তৃতীয়ত, দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ হিসাব-নিকাশ করতে পারা। স্বাধীন বাংলাদেশে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য জাতির জন্য বিনামূল্যে বাধ্যতামূলক শিক্ষার অবাধ অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদে এই অধিকারটি স্বীকৃতি পেয়েছে। সাক্ষরতা ও উন্নয়ন অনেকাংশে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। নিরক্ষরতা সমাজের উন্নয়নের পথে বড় প্রতিবন্ধক। তাই টেকসই ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনের জন্য প্রয়োজন জ্ঞান ও দক্ষতা, যা শুধুমাত্র সাক্ষরতার মাধ্যমে অর্জিত হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *