123 Main Street, New York, NY 10001

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। গতকাল বুধবার দিনের শেষ সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ বিলিয়ন ৩৩ লাখ ডলার। IPF এর হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী (বিপিএম–৬), রিজার্ভ ছিল ২৬ বিলিয়ন ৩১ লাখ ডলার। এর আগে গত রোববার, গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার, আর বিপিএম–৬ এর হিসাব অনুযায়ী তা ছিল ২৫ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার।

গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ২০২ কোটি ডলার পরিশোধ করে। এর ফলে গ্রস রিজার্ভ কমে যায় ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে। বিপিএম–৬ অনুযায়ী ওই সময়ে রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।

রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণের কারণে গত জুনের শেষে রিজার্ভ বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার, যা গত ২৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে, ২০২৩ সালের মার্চের শুরুতে, রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার নিচে নেমেছিল। জুনে বিপিএম–৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার, এবং তিনি আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী বিপিএম–৬ হিসাব প্রকাশ করতে থাকেন। ওই সময়রেকর্ড অনুযায়ী, রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে কমে ২০২৩ সালের জুলাই শেষে তা ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। সরকারের পতনের পরে, অর্থের প্রবাহে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আনা এবং হুন্ডির অবাধ ব্যাপার কমে যাওয়ায় প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয় প্রায় ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। চলতি অর্থবছরের ২০ আগস্ট পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৪১২ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯.৬০ শতাংশ বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *