123 Main Street, New York, NY 10001

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) সংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি আগামী ৪ নভেম্বর। এই দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের দেওয়া এ রায়ের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে আজ লিভ মঞ্জুর (আপিলের অনুমতি) দেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ। শুনানির সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন, রিট আবেদনের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবীরা প্রবীর নিয়োগী ও নিহাদ কবির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিমের নেতৃত্বে। এছাড়াও আদালতের ইন্টারভেনর হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

২০১৮ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে, যা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ১১ সেপ্টেম্বর জারি করা হয়। পরবর্তীতে এতে বিভিন্ন সময়ে সংশোধনী আনা হয়। তবে, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংজ্ঞায়িত পদ ও স্বীকৃত পদগুলোকে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচে রাখা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিট করেন।

২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে, এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এরপর ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায় দেন, যেখানে হাইকোর্টের নির্দেশনাগুলোর কিছুটা সংশোধন করে নতুন তিন দফা নির্দেশনা ঘোষণা করা হয়। সেই নির্দেশনাগুলো ছিল: প্রথমত, সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন, তাই বিরোধপূর্ণ প্রিসিডেন্সে সাংবিধানিক পদধারীর অগ্রাধিকার থাকবে। দ্বিতীয়ত, জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে জেলা জজ ও সমপদমর্যাদাসম্পন্ন কর্মকর্তারা সরকারের সচিবের সঙ্গেই ১৬ নম্বর ক্রমে থাকবেন, এবং তৃতীয়ত, জেলা জজের পরে অতিরিক্ত সচিবরা ১৭ নম্বর ক্রমে থাকবেন।

এরপর, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন রিভিউ আবেদন করে, যার পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা যুক্ত হন। এই আপিল ও রিভিউ প্রক্রিয়া আদালতের গুরুত্বপূর্ণ এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে চলমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *